বাংলাদেশ হয়ে আসাম-ত্রিপুরায় পণ্য পাঠানোর সুযোগ দীর্ঘায়িত করতে চায় ভারত। ট্রানজিট-ট্রানশিপমেন্টের আওতায় এমন প্রস্তাবে সায়ও দিয়েছে ঢাকা। একই পথে ভারত থেকে জ্বালানি তেল বিনামূল্যে ট্রানজিট সুবিধায় আনতে চায় বাংলাদেশ। এছাড়া ভারতের বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য প্রস্তাবকে ইতাবাচক মনে করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বন্যা ও ভূমিধসে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিধ্বস্ত হওয়ায় ভারতকে সিলেট, মৌলভীবাজারের সড়ক ব্যবহার করে আসাম থেকে ত্রিপুরা, মণিপুর রাজ্যে জ্বালানি পরিবহনের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ। প্রসঙ্গত, দুই মাসের জন্য করা এ চুক্তির মেয়াদ এ মাসের ৩০ তারিখ শেষ হচ্ছে।
সম্প্রতি ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কাছে পেয়ে এ সুবিধার মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছিল ভারত। দিল্লি সফর নিয়ে দুই দেশের যৌথ বিবৃতিতেও বিষয়টি উঠে আসে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুট ব্যবহার করে দিল্লির জ্বালানি পরিবহনের এ প্রস্তাবে ঢাকারও সায় রয়েছে। কারণ এ পথেই ভারত থেকে তেল আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশেরও সুবিধা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সরকারপ্রধানরা এবং কর্মকর্তারা এ বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। আগামীতে জ্বালানি তেল আমদানিরও সুযোগ রয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে আরও দেখা গেছে, ভারত বাংলাদেশকে ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের প্রস্তাব দিয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকাও আঞ্চলিক-উপআঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়াতে এ প্রস্তাবকে ইতিবাচক মনে করছে। তাই এ ব্যাপারে পর্যালোচনা চলছে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আমরা ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য সিংগাপুর বা কলম্বোকে ব্যবহার করি। তবে ভারত যদি আমাদের আকর্ষণীয় কিছুর অফার করে, তাহলে আমরা সাশ্রয়ীমূল্যে তাদের বন্দরগুলো ব্যবহার করতে পারব।
এছাড়া দুইদেশের রেল যোগাযোগ বাড়াতে কাজ চলছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আলোচনার পাশাপাশি অবকাঠামোগত সক্ষমতাও যাচাই করা হচ্ছে।