বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশের পরিক্ষীত বন্ধু রাষ্ট্র। উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বেড়েছে, আরও বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। উভয় দেশের আন্তরিকতার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগগুলো কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় বাণিজ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী হইাকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী সাক্ষাৎ করতে গেলে টিপু মুনশি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতিসম্প্রতি ভারত সফর করেছেন। দুই দেশের সরকার প্রধানের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এ সুযোগ-সুবিধার নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এতে উভয় দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হবে। বাণিজ্য ক্ষেত্রে জটিলতাগুলো দূর হলে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়বে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হচ্ছে, এতে করে উভয় দেশের মানুষ উপকৃত হচ্ছে।
সীমান্তে স্থাপিত বর্ডারহাটগুলোর প্রতি উভয় দেশের মানুষের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এর সুফল উভয় দেশের মানুষ ভোগ করছে। উভয় দেশের মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা বাড়ছে।
উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং ব্যবসায়িক জটিলতা দূর করতে ভারতের বিদায়ী হইাকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাই স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
সেপা চুক্তির বিষয়ে বাংলাদেশ খুবই আশাবাদী উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে করে সেবা ও পণ্য বাণিজ্য বিনিয়োগ মেধাস্বত্ব ও ই-কমার্সের মতো বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা যাবে। এতে উভয় দেশের বাণিজ্য আরও বাড়বে।
এসময় ভারতের বিদায়ী হইাকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনের সময়ে সবার আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনের সময়টুকু স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক কাজ হয়েছে, আরও অনেক কাজ করার সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাদেশের পণ্যের প্রচুর চাহিদা আছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে, আরও উন্নয়ন প্রয়োজন।
চট্রগ্রাম ও মোংলা বন্দরকে আরও কার্যকর করলে উভয় দেশের বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব মন্তব্য করে তিনি বলেন, বন্দরগুলোর সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করলে ব্যবসা-বাণিজ্যে সুবিধা হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি সম্প্রতি ভারত সফর উভয় দেশের সরকার প্রধানের আলোচনা ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ওপর বেশ প্রভাব পড়বে।
সেপা চুক্তির বিষয়ে দোরাইস্বামী বলেন, সেপা চুক্তি উভয় দেশের জন্য ভালো হবে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের সড়ক পথ যোগাযোগ খুবই ব্যবসাবান্ধব হবে।
আগামী দিনগুলোতে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।