ছবি সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়ায় আগামী মাস থেকে শুরু হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। এ আসর দিয়ে সব কটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা একমাত্র বাংলাদেশি ক্রিকেটার হবেন সাকিব আল হাসান। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে আছেন তিনি।
২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা আসর দিয়ে শুরু হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যাত্রা। সেই আসর থেকেই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বমঞ্চে খেলে আসছেন সাকিব। এ তালিকায় নাম ওঠার সুযোগ ছিল মাহমুদুল্লাহ রিয়াদেরও। কিন্তু বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত ১৫ জনের দলে রাখা হয়নি রিয়াদকে। এছাড়া এ মাসেই এই ফরম্যাট থেকে অবসর নেন মুশফিকুর রহিম। অবসর না নিলে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেলে সাকিবের পাশে বসতে পারবেন মুশফিকও।
২০০৬ সালে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় সাকিবের। ওই বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টির দলে ছিলেন সাকিব ও মুশফিক। সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপের পরপরই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নেন মুশি। ফলে এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে এখন সবচেয়ে দীর্ঘদিন খেলা ক্রিকেটার সাকিব।
এবার বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলবে বাঁ হাতি স্পিন অলরাউন্ডার সাকিবের নেতৃত্বে। ২০১০ সালের বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। সেই বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচেই হেরেছিল বাংলাদেশ। বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের সাফল্য না থাকলেও সাকিবের ব্যক্তিগত অর্জন অসাধারণ। ৩১টি ম্যাচে ২৬ দশমিক ৮৪ গড়ে ৬৯৮ রান করেছেন সাকিব। বল হাতে ১৭ দশমিক ২৯ গড়ে ৪১ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাঁচশর বেশি রান এবং কমপক্ষে ৩০ উইকেট নেয়া দুই ক্রিকেটারের একজন সাকিব। ক্রিকেটারদের মধ্যে যারা খেলছেন তাদের মধ্যে এই রেকর্ডে রাজত্ব করছেন তিনি। অবসর নেয়া পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি ৫৪৬ রান এবং ৩৯ উইকেট নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
সূত্র: বাসস