ছবি: সংগৃহীত
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের মেজবানি। শুধু বাংলাদেশিদের কাছে নয়, ভিনদেশিদের কাছেও মেজবানি হয়ে উঠেছে অন্যান্য স্বাদের প্রিয় খাবার।
আরব আমিরাতে বাংলাদেশি কোনো রেস্তোরাঁ চালু হওয়ার আগে ভোজনরসিকদের কথা চিন্তা করে মেজবানির খবরটি আগে পৌঁছে দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। আমিরাতে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের মধ্যে ৮০ ভাগই চট্টগ্রাম অঞ্চলের। তাই সেখানে খাবারের সংস্কৃতি প্রাধান্য পেয়েছে চট্টগ্রামকে ঘিরে।
আমিরাতের বিভিন্ন প্রান্তে কয়েক হাজার বাংলাদেশি রেস্তোরাঁ গড়ে উঠলেও ভোজন রসিকদের কাছে জনপ্রিয়তা বাড়াতে খাবারের তালিকায় রাখা হয়েছে চট্টগ্রামের মেজবানি। গরুর মাংস, চনার ডালের সঙ্গে চর্বি ও নিহারি, এই তিনটি উপকরণ দিয়ে ভোজনবিলাসীদের কাছে সরবরাহ করা হয় মেজবানি।
দুবাইয়ের কিছু কিছু অঞ্চলে দেখা যায়, হোটেলের নামকরণও করা হয়েছে মেজবান নাম দিয়ে। দেশটিতে মেজবানি এত বেশি জনপ্রিয় যে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষকে ক্রেতা ধরে রাখার জন্য খাবারের তালিকায় মেজবানিকে প্রাধান্য দিতে হয় সবচেয়ে বেশি।
আমিরাতের বাঙালি রেস্তোরাঁগুলোতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশাপাশি অন্য দেশের নাগরিকদের কাছেও বর্তমানে জনপ্রিয় খাবারের নাম মেজবানির মাংস। প্রথম দিকে খাবারটি নিয়ে শুধু কৌতূহল থাকলেও বর্তমানে তা চলে এসেছে অন্যান্য দেশের প্রবাসীদের পছন্দের তালিকায়।