‘জনগণের স্বাস্থ্য নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলবে, ব্যবসা করবে—এটি আমরা হতে দেব না’ বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজশাহী সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রায় দুই যুগ ধরে বন্ধ রাজশাহী সদর হাসপাতাল। এখন সেখানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের কার্যক্রম চলে। করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে এটি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত চালু হয়নি। এই হাসপাতালটি চালুর পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, হাসপাতালটি আমরা চালু করতে চাই। এখানে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা হবে। পাশাপাশি ডেন্টাল ইউনিটেরও কার্যক্রম থাকবে। কীভাবে কী করা যায়, সে বিষয়ে কথা বলতেই এসেছি।

মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় লাইসেন্সবিহীন কোনো প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা যাবে না। আমাদের সরকারি কিছু নিয়মনীতি আছে। আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়েছি। ইতোমধ্যে সারা দেশে প্রায় দুই হাজারের মতো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছি। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তারা যদি লাইসেন্স নবায়ন করে এবং সঠিক যন্ত্রপাতি ও জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকে, তাহলে তাদের কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে যারা শর্ত পূরণ করেছে, তাদের আবার পরিচালনা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। শর্ত পূরণ না হলে সুযোগ দেওয়া হবে না।

এর আগে বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে দেখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

পরিদর্শনের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে জনবলের কিছু সংকট দেখেছেন। আউটসোর্সিং ও নিয়োগের মাধ্যমে জনবলের ঘাটতি পূরণের জন্য বলেছেন। হাসপাতালটিতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি রোগী থাকেন। সে জন্য ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী প্রমুখ।