পুলিশের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও রাজধানীর পল্লবীতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সমাবেশে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও গ্রেফতারের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি গ্রেফতার করা নেতাকর্মীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি ও আহত নেতাকর্মীদের সুস্থতা কামনা করেন।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) তিনি গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে দেন।
বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং তাদের দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিরোধী দলকে দমনের চক্রান্ত করছে। এর অংশ হিসেবে তারা বিএনপিসহ বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের ওপর হামলা এবং নেতাকর্মীদের খুন-জখমের কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সমাবেশে পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় নেতাকর্মীদের আহত করাসহ রূপনগর থানা বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন জসিম, নজরুল ইসলাম নজু, সালাউদ্দিন খান, এম আকতার হোসেন, ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান, মামুন মজুমদার, জসিম রানা এবং এস এম হাব্বিসহ অনেককে আটক করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, জনসমর্থন শূন্যের কোঠায় আাঁচ করতে পেরেই ক্ষমতাসীনরা একদিকে সন্ত্রাসীদের দিয়ে এবং অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কব্জায় এনে দেশব্যাপী তাণ্ডব সৃষ্টি এবং নেতাকর্মীদের আহত করাসহ গ্রেফতারের এক মহাযজ্ঞে লিপ্ত হয়েছে। আর এসব করার উদ্দেশ্যই হচ্ছে, রাষ্ট্রক্ষমতা যাতে হাতছাড়া না হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশটাকে নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তি ভেবে আধিপত্য বিস্তারের জঘন্য মনোবৃত্তির কারণে ক্ষমতাসীনরা এখন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাই তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে চায়। তবে দমনপীড়ন চালিয়ে বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে থামানো যাবে না; বরং নির্যাতনের মাত্রা যতই বাড়বে, ততই বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীরা সুসংগঠিত হয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে চলমান আন্দোলনকে আরও গতিশীল করবে।’