রাশিয়া সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় ইউরোপজুড়ে তীব্র হচ্ছে জ্বালানি সংকট। তেল-গ্যাসের সন্ধানে মরিয়া পশ্চিমাদেশগুলো। গত ২৫ আগস্ট চীনে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলা হচ্ছে, শীত মৌসুমের জন্য ইউরোপ প্রতি মাসের জন্য কমপক্ষে দুই কোটি ব্যারেল তেলের বিকল্প উৎস খুঁজছে। সম্ভবত এই বিকল্প ইরান।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দি ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, বিপুল পরিমাণ চাহিদার জোগান দেয়া ইউরোপের মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষেও সম্ভব নয়। অন্যদিকে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি সতর্ক করে জানিয়েছে, পশ্চিমাদেশগুলো রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখলে সংকট আরও ঘনীভূত হবে।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মস্কোর ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পশ্চিমা দেশগুলো। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন রুশ ভ্লাদিমির পুতিন। আর এতেই সংকট দেখা দেয় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে।
সংকট নিরসনে তেল-গ্যাস উৎপাদনকারী দেশ ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও আলোচনা শুরু করে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে দফায় দফায় বৈঠক করেও কোনো সুরাহা হয়নি জ্বালানি সংকটের। উল্টো লাফিয়ে বাড়তে থাকে জ্বালানির দাম। পশ্চিমা মিত্রদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে তেল-গ্যাসের যোগান পাওয়ার আশা থাকলেও সেই সম্ভাবনা নিয়েও এখন শঙ্কায় পড়েছে ইউরোপ।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, ইউরোপের জ্বালানি চাহিদা মেটানো সম্ভব নয় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে। এমনকি মার্কিন তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে তেল উৎপাদন বাড়ানো অসম্ভব বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
ইউরোপের জ্বালানি সংকট নিয়ে আশার কথা শোনাতে পারেনি ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সিও। উল্টো সংস্থাটি সতর্ক করে জানিয়েছে, রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে আগামী শীতে ভয়াবহ জ্বালানি সংকটে পড়তে হবে ইউরোপকে। এই পরিস্থিতি এড়াতে মস্কোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়ে মত দিয়েছে সংস্থাটি।