সাহিত্যকর্ম ও মানবকল্যাণে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ইন্দিরা গান্ধী স্বর্ণপদক পেয়েছেন বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, গীতিকবি ও লেখক এম মিরাজ হোসেন। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তার হাতে এই পদক তুলে দেয়া হয়।
শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্দুমতি সভাগৃহে আয়োজন করা হয় ‘ভারত-বাংলাদেশ সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ’-এর এবারের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান। এ বছর ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী স্বর্ণপদকসহ সাহিত্য ও সংস্কৃতির বেশ কয়েকটি শাখায় দেয়া হয় সম্মাননা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মু. নজরুল ইসলাম তামিজি। বিশেষ অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসভার সদস্য শুভাশিস চক্রবর্তী।
এবার ইন্দিরা গান্ধী স্বর্ণপদকে ভূষিত হন বাংলাদেশের লেখক ও শিল্প উদ্যোক্তা এম মিরাজ। পরিষদের সভাপতি রাণা মুর্খাজি ও সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম কনক ছাড়াও অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে আসা বেশ কয়েকজন প্রকাশক ও লেখক উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার প্রসঙ্গে মিরাজ হোসেন বলেন, ‘ইন্দিরা গান্ধী মহীয়সী নারী। তার নামে প্রবর্তিত পুরস্কার প্রাপ্তিতে আমি গর্বিত ও সম্মানিত। পুরস্কারটি আমাকে আগামী দিনে সৃষ্টিশীল কাজে উৎসাহী করবে।’
পেশাগত জীবনে এম মিরাজ হোসেন বাংলাদেশি একটি স্বনামধন্য ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। তবে আদ্যোপান্ত তিনি একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। গীতিকার হিসেবে বেশ কিছু জনপ্রিয় গান লিখেছেন তিনি। তার মধ্যে কোনাল ও তাহসিনের গাওয়া ‘তুমি কাছে আসবে’, মাহতিম সাকিবের ‘তবু দেখা হোক’, তুহিনের কণ্ঠে ‘তুমি ছাড়া আমি যেমন’ উল্লেখযোগ্য।
পাশাপাশি বিভিন্ন দেশি ও আন্তর্জাতিক সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন এম মিরাজ হোসেন। এ ছাড়া নিয়মিত লেখালিখি করেন তিনি। তার লেখা তিনটি বই ‘হাওয়ায় ভেসে হাজার মাইল’, ‘আপননামা’ ও ‘ব্যাখ্যাতীত’ প্রকাশিত হয়েছে।