কিছুদিন আগেই ডেভিড ওয়ার্নার জানিয়েছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব পাওয়ার জন্য ফোনের অপেক্ষায় আছেন তিনি। গুঞ্জন আছে, স্টিভ স্মিথকেও ওয়ানডে দলের অধিনায়ক করার ব্যাপারে ভাবছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড। তবে এই দুজনের একজনকেও অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চান না অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ফাস্ট বোলার মিচেল জনসন।
ওয়ানডে থেকে ফিঞ্চের অবসরের পর থেকেই নতুন অধিনায়কের খোঁজ করছে অস্ট্রেলিয়া। এক বছর পর ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য এখনই একজন ভালো অধিনায়ককে চায় বোর্ড। তবে এর জন্য চ্যালেঞ্জটা একটু বেশিই নিতে হচ্ছে বোর্ডের। এ ছাড়া নির্বাচকরা এমন একজনকে খুঁজছে যে দীর্ঘদিন অস্ট্রেলিয়া দলকে নেতৃত্ব দিতে পারবে। তবে স্মিথ ও ওয়ার্নারকে যদি আবারও অধিনায়কের গুরুদায়িত্ব দেয়া হয় তা কোনোভাবেই ঠিক হবে না বলে মনে করেন জনসন।
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক বাঁহাতি ফাস্ট বোলার সংবাদসংস্থা ‘পিটিআই’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘স্মিথ-ওয়ার্নার কাউকেই অধিনায়ক করা উচিত নয়। দলকে তারা নানাভাবে পরামর্শ দিতেই পারে এবং সেটা তারা করেও আসছে। তবে তাদেরকে নেতৃত্বে ফিরিয়ে আনার কোনো প্রয়োজন দেখি না, পুরনো সেই ব্যাপারগুলো ফিরে আসবে তাতে।’
এদিকে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেও এমন মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুটি বিশ্বকাপ জেতা জনসন। তিনি বলেন, ‘দুজনই এখন ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে আছে। তাই এমন একজনকে নেতৃত্বে আনা উচিত, যাকে অনেকটা সময় পাওয়া যাবে।’
বল টেম্পারিং কাণ্ডে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর আরও এক বছর নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞা ছিল স্মিথের। সেই সময়টুকু শেষ হওয়ার পর টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক করা হয়েছে তাকে। ইতোমধ্যে টেস্ট দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্বও দিয়ে ফেলেছেন স্মিথ। কিন্তু ৩৩ বছর বয়সী স্মিথ আর খুব বেশিদিন ওয়ানডে খেলবেন না ইঙ্গিত দিয়েছেন। এমন হতে পারে, আগামী বিশ্বকাপই হবে স্মিথের শেষ বিশ্বকাপ।
ওয়ার্নার-স্মিথকে অধিনায়কত্ব না দেওয়া হলে সম্ভাব্য বিকল্প যারা হতে পারেন, তাদের নামও বললেন জনসন। তিনি বলেছেন, ‘প্যাট কামিন্স হয়তো সব সংস্করণের দায়িত্বে পেরে উঠবে না। ওয়ার্কলোড অনেক বেশি হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে দেখা যেতে পারে, ম্যাক্সওয়েল কিংবা ক্যামেরন গ্রিনের দিকে। তবে অলরাউন্ডার হিসেবে এমনিতেই অনেক ওয়ার্কলোড আছে তাদের ওপর। ট্রাভিস হেডও আছে সম্ভাব্য একজন। তবে নির্বাচকদের ভাবনায় নিশ্চয়ই কেউ আছেই।’