মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইনটেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) উপপরিচালক ডেভিড কোহেন বলেছেন, ২০২৭ সালের মধ্যে তাইওয়ান দখলে সেনাবাহিনী প্রস্তুত করছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
তবে তার আগে দ্বীপদেশটিকে শান্তিপূর্ণভাবে একীভূত করার চেষ্টা করবেন তিনি। শান্তিপূর্ণ উপায়ে না হলে শক্তি প্রয়োগ করবেন। সিআইএর বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সিআইএর বিবৃতির বরাত দিয়ে সিএনএনকে উদ্ধৃতি করে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জিনপিং তাইওয়ান দখলে এখনই কোনো আগ্রাসনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন না। তবে তিনি শক্তি প্রয়োগ করে তাইওয়ান দখলের লক্ষ্যে সামরিক সক্ষমতা গড়ে তুলতে চাচ্ছেন।
সিআইএর বক্তব্য উদ্ধৃতি করে সিএনএন বলেছে, ‘তিনি (চীনা প্রেসিডেন্ট) এখনও সেই সিদ্ধান্ত নেননি। তবে তিনি তার সেনাবাহিনীকে যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এর মানে তিনি সেটা করতে চান এবং তিনি যেন সেটা করতে সক্ষম হন। এখন পর্যন্ত আমাদের গোয়েন্দা তথ্য সেটাই বলছে।’
চীন তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া একটি দ্বীপ বা ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে। অন্যদিকে তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র বলে দাবি করে আসছে।
তবে সম্প্রতি বেইজিং প্রকাশ্যেই বলেছে, তাইওয়ানকে তারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একত্র করতে চায়। গত মাসে মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকালে পুরো অঞ্চলে নজিরবিহীন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
পেলোসির সফরের জবাবে তাইওয়ানের চারপাশে সপ্তাহব্যাপী সামরিক মহড়া চালায় চীনা সেনাবাহিনী। শুধু তাই নয়, বেসামরিক উপায়ে তাইওয়ান দখলের প্রত্যয় জানিয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ জিনপিং সরকার।
তবে এটাকে চীনের ‘এক দেশ, দুই নীতি’ অভিহিত করে প্রত্যাখ্যান করেছে তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে তাইপে ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছে, তাইওয়ানের জনগণই তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে।