করোনা ও বন্যার কারণে দুই দফা পেছানোর পরও কর্তৃপক্ষের ভুলের খেসারত দিতে হচ্ছে যশোর শিক্ষা বোর্ডের দেড় লক্ষাধিক পরীক্ষার্থীকে। স্থগিত হওয়া বাংলা দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা না হওয়ায় পরীক্ষা নিয়ে চিন্তিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা না হওয়ায় ফল বিলম্বে প্রকাশের আশঙ্কা করছে তারা। বিজি প্রেসের ভুল প্যাকেজিংয়ের কারণে এ সমস্যা দাবি করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড বলছে, পরীক্ষা স্থগিত হলেও এর জন্য ফল প্রকাশে দেরি হবে না।
কথায় বলে ‘বিসমিল্লায় গলদ’। এবার এই প্রবাদ বাস্তবে ফলেছে যশোর বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষায়। প্রথম দিনেই তিনটি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রথম পত্রের স্থলে সরবরাহ করা হয় দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউর প্রশ্ন। বিষয়টি জানাজানি হলে নানা আলোচনা-সমালোচনার মুখে বাতিল করা হয় এমসিকিউ অংশের পরীক্ষা। এখনো নির্ধারিত হয়নি স্থগিত হওয়া পরীক্ষার তারিখ। তাই বিলম্বে ফল প্রকাশের শঙ্কায় ১ লাখ ৬৫ হাজার ৪৭৭ পরীক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা জানায়, খুবই দুশ্চিন্তায় আছে তারা।
করোনা ও বন্যার কারণে দুই দফা পেছানোর পরও সঠিক প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিতে না পারাকে কর্তৃপক্ষের বড় গাফিলতি হিসেবে দেখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা এমনিতে প্রথম পাবলিক পরীক্ষায় নানা ধরনের চিন্তার মধ্যে থাকে। এখন তাদের মধ্যে আরও বেশি ভয় কাজ করবে।
প্রশ্ন প্যাকেজিংয়ের সময় বিজি প্রেসের ভুলের কারণে এ সমস্যা বলে দাবি করছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। পরীক্ষা স্থগিত হলেও এর জন্য ফল প্রকাশে দেরি হবে না।
বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ের সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলছেন, বিজি প্রেস থেকে প্যাকেজিং করা হয়েছে। এ জন্য ভুলটা সেখান থেকে হয়েছে। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। দ্রুতই পরীক্ষা নেয়া হবে এবং ফল প্রকাশে দেরি হবে না।
চলমান পরীক্ষার মধ্যেই সুবিধাজনক সময়ে স্থগিত হওয়া পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।