২০১৬ সালে শিলিগুড়িতে সাফ জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েও ভারতের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়। তবে এবার আর কোনো আক্ষেপ নয়, স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে শিরোপার উৎসব বাংলাদেশের মেয়েদের। দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন এখন সাবিনা-সানজিদারা।
সাফের ষষ্ঠ আসরে সব দিক থেকেই এগিয়ে বাংলাদেশ। ফাইনাল শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সব পুরস্কারই পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। সাফের ট্রফি জয়ের সঙ্গে ফেয়ার প্লে ট্রফিটাও জিতেছে বাংলাদেশ।
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। দুটি হ্যাটট্রিকসহ সব মিলিয়ে আট গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারও পেয়েছেন।
আসরের শুরু থেকেই নিজের পায়ের জাদু দেখিয়ে গেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। মালদ্বীপকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয়ার ম্যাচে জোড়া গোল করেন সাবিনা। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে তুলে নেন আসরে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক। গ্রুপপর্বের ওই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ভারতকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে গ্রুপ ‘এ’-র চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে পা রাখে ছোটনের শিষ্যরা। এ ম্যাচে অবশ্য গোলের দেখা পাননি সাবিনা। তবে গোল করানোয় রেখেছেন ভূমিকা।
সাফের চলতি আসরের প্রথম সেমিফাইনালে ভুটানকে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করে বাংলাদেশের মেয়েরা। এ ম্যাচে ৩ গোল করে আসরে নিজের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক তুলে নেন সাবিনা। আর তাতে ৮ গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোল স্কোরারের তালিকায় সবাইকে ছাড়িয়ে যান তিনি।
এদিকে, সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের পুরো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের মেয়েরা মোট গোল করেছে ২৩টি। হজম করেছে মাত্র একটি। সেটিও ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে। আর তাই স্বাভাবিকভাবেই সেরা গোলকিপার হয়েছেন বাংলাদেশের রূপনা চাকমা।