সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জেতায় বাংলাদেশের রক্ষণভাগের খেলোয়ার সিরাজগঞ্জের মেয়ে ফুটবলার আঁখি খাতুনের বাড়িতে আনন্দের জোয়ার বইছে। আঁখির অসামান্য কৃতিত্বে গর্বিত তার মা বাবা।
ফাইনালে নেপালকে হারিয়ে শিরোপা নিয়ে দেশে ফেরার খবর দেখতে সকাল থেকে আঁখির পরিবার ও গ্রামবাসী টেলিভিশনের পর্দার সামনে বসে ছিলেন। বিমানবন্দর থেকে খোলা বাসে মতিঝিল যাবার পথে তাদের মেয়েদের প্রতি হাজার হাজার মানুষের ভালোবাসা দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন আখিঁর পরিবারের সদস্যরা।
এর আগে বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ফুটবলার আঁখির বাড়িতে তার বাবা-মায়ের সাথে দেখা করতে অসংখ্য মানুষ ভিড় করেন।
এলাকাবাসী জানান, আঁখি খাতুন আমাদের গ্রামের মেয়ে। তার পায়ের নিপুণ কৌশল আমরা যখন টিভিতে দেখি তখন গর্বে আমাদের বুক ভরে যায়। আঁখি আমাদের দেশের সম্পদ।
হাসপাতালে সাফজয়ী ঋতুপর্ণা
আঁখির বাবা আখতার হোসেন জানান, শত অভাব অনটনকে পেছনে ফেলে মেয়ের এমন সাফল্য ও দেশের মানুষের ভালোবাসায় আমি খুবই আনন্দিত। আমার মেয়ে দেশের জন্য বিজয় ছিনিয়ে এনেছে, এর চেয়ে খুশির কোনো খবর আমার কাছে আর হতে পারে না। আর বিমানবন্দর থেকে ফুটবল ফেডারেশনের অফিসে যেতে যে উৎসব হয়েছে, টিভিতে যেটা দেখেছি, তাতে আমি ও আমার পরিবার সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।
আর আঁখির মা নাছিমা বেগম বলেন, ছোট থেকেই আমার মেয়ে আঁখি ফুটবল খেলার আগ্রহী। সে প্রাইমারি স্কুল থেকে খেলার পারদর্শী। তখন থেকে প্রতিটি খেলায় গোল করে সবার নজর কাড়ে আঁখি। খেয়ে না খেয়ে আমি মেয়েকে আমি মানুষ করেছি। তবে তার খেলায় যাতে কখনো কোনো অসুবিধা না হয় সে বিষয়ে আমরা সব সময় খেয়াল রেখেছি।