হাসপাতালে যেতে দেরি করায় এবারে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার তুলনামূলক বেশি বলে মনে করছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আসল কারণ জানতে এরই মধ্যে গঠন করা হয়েছে ডেথ রিভিউ কমিটি।
গবেষণায় দেখা গেছে এবারে আক্রান্তের অধিকাংশই সেরোটাইপ থ্রি আর ফোরে আক্রান্ত। একাধিকবার আক্রান্ত হলে বাড়বে ঝুঁকি। তাই সচেতন থাকার পারামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
গতকাল মঙ্গলাবার (২০ সেপ্টেম্বর) চলতি বছরের সর্বোচ্চ চার’শ আটত্রিশ (৪৩৮) জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তির খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ হাজার । চলতি মাসের শুরু থেকেই যেন ক্রমবর্ধমান এ সংখ্যা। সেই সঙ্গে ভাবাচ্ছে মৃতের সংখ্যাও।
এ বছর জুনে আত্রান্ত ৭৩৭, মৃত্যু এক; জুলাইতে প্রায় ১৬০০, মৃতের সংখ্যা ছিল ৯; আগস্টেও সাড়ে তিন হাজারের বেশি, মৃত্যু ১১ জনের। তবে সেপ্টেম্বরের ২০ দিনেই আক্রান্ত প্রায় ছয় হাজার, আর এই কয়েকদিনেই মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন দুই দশক ধরে দাপট চালানো এ রোগের চারটি সেরোটাইপের মধ্যে এবারে থ্রি আর ফোরে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
আইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর বলেন, ডেঙ্গু এ চারটি ভাইরাসে আক্রান্ত করতে পারে, সুতরাং একটি ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত হলে, এ ভাইরাস দিয়ে আপনি আর জীবনে সংক্রমিত হবেন না। কিন্তু আরও যেহেতু ৩টি ভাইরাস আছে জীবনে অন্তত চার বার ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা আছে। দ্বিতীয়বার যে কোনো ধরন দিয়ে আক্রান্ত হলেই সেটি কিন্তু জটিলতা সৃষ্টি করে।
তবে স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, অসচেতনতার কারণে দেরি করে হাসপাতালে যাওয়ায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। তবে প্রকৃত কারণ জানতে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে ডেথ রিভিউ কমিটি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (সিডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, যখন রোগী খুব খারাপ অবস্থায় চলে গেছে, তখন তারা সরকারি হাসপাতালে আসেন। গোড়াতে যেয়ে কারণ উদ্ঘাটন করতে শক্তিশালী একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। যারা সবকিছু বিশ্লেষণ করে আমাদের প্রতিবেদন আকারে জানাবেন।
আগামী মাসের অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহের পরে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমতে থাকবে বলেও জানিয়েছে অধিদফতর।