ভারতের পাঞ্জাবের চণ্ডীগড়ের পর এবার তামিলনাড়ুর মাদুরাই। মহিলা হোস্টেলের আবাসিকদের গোসল এবং পোশাক বদলানোর ভিডিও ‘বন্ধু’-কে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে বিএড পড়ুয়া এক তরুণীর বিরুদ্ধে। চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা হোস্টেলের ছাত্রীদের ‘গোপন ভিডিও’ নিয়ে যখন হইচই চলছে, তখন মাদুরাইয়ে ঠিক একই ধরনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় শোরগোল পড়ে গেছে।
অভিযুক্ত তরুণীর নাম কালীশ্বরী। তিনি মাদুরাইয়ের একটি বেসরকারি কলেজে বিএড করছেন। পুলিশ জানিয়েছে, কালীশ্বরী হোস্টেলের অন্যদের গোসলের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে তা আশিক নামে তার এক বন্ধুতে পাঠাতেন। প্রায় ৩ বছর আগে আশিকের বিয়ে হয়েছিল। সম্প্রতি কালীশ্বরীর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় তার। আশিকের নিজের ক্লিনিক রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, কালীশ্বরীকে হোস্টেলের মেয়েদের ‘গোপন ভিডিও’ বানানোর জন্য চাপ দিতেন আশিক। কালীশ্বরী লুকিয়ে তাই অন্যদের গোসল এবং পোশাক বদলানোর ছবি নিয়ে সেগুলো আশিককে পাঠাতেন।
তবে কালীশ্বরীর গতিবিধি সম্পর্কে সন্দেহ হয় অনেকের। সেই সন্দেহ থেকেই কালীশ্বরীকে চাপ দেয়া হলে তার মোবাইল থেকে হোস্টেলের মেয়েদের একাধিক ভিডিও এবং ছবি উদ্ধার হয়। পরে হোস্টেলের ওয়ার্ডেন কালীশ্বরীর মোবাইল নিয়ে নেন এবং পুলিশে খবর দেন।
অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে মাদুরাই পুলিশের সাইবার অপরাধদমন শাখা। তখন আশিকের বিষয়টিও প্রকাশ্যে আসে। এরপরই আশিক এবং কালীশ্বরীকে গ্রেফতার করা হয়।
সম্প্রতি চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা হোস্টেলের ছাত্রীদের গোসলের ভিডিও প্রেমিককে পাঠানোর অভিযোগ ওঠে ওই হোস্টেলেরই এক তরুণীর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ৮ ছাত্রী। সেই ঘটনায় এখনও উত্তাল গোটা চণ্ডীগড়। ইতোমধ্যেই এক সেনা সদস্যসহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা