আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারতে আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের প্রথমটিতে টাইগার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ভালো প্রস্তুতি নিতে পেরেছেন কেবল আফিফ হোসেন এবং অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। এরমধ্যে আফিফের ক্যারিয়ারসেরা ঝড়ো ইনিংসে ভর করে ১৫৮ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে টাইগাররা।
দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৫৮ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। টাইগারদের মধ্যে আফিফ ক্যারিয়ারসেরা ৭৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। এ ছাড়াও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান অপরাজিত ছিলেন ৩৫ রানে।
এদিন টাইগার ব্যাটসম্যানদের শুরু থেকে বেশ ভালো পরীক্ষা নিতে থাকেন আমিরাতের বোলাররা। প্রথম পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের ৩ উইকেট তুলে নেয় দলটি। এদিনও ওপেনিং করতে নেমে ব্যর্থ হয়েছেন সাব্বির রহমান। শূন্য রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই ব্যাটসম্যান। আরেক ওপেনার মেহেদী মিরাজ ১২ রান করে আউট হয়ে যান। এর জন্য তিনি খেলেন ১৪ বল।
তিনে নেমে লিটন দাস আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন। তবে ৮ বলে ৩ চারে ১৩ রান করে ফেরেন তিনিও। ইনজুরি থেকে ফিরে দলে সুযোগ পাওয়া ইয়াসির আলীও ব্যাট হাতে সফল হতে পারেননি। মাত্র ৪ রান করে বোল্ড হয়ে ফেরেন।
দারুণ ফর্মে থাকা মোসাদ্দেক হোসেনও পারেননি ব্যাটকে হাসাতে। মাত্র ৩ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। মাত্র ৭৭ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান আফিফ ও অধিনায়ক সোহান। দুইজনে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৯ ওভারে তোলেন অবিচ্ছিন্ন ৮১ রান।
এরমধ্যে বেশি আগ্রাসী ছিলেন চারে নামা আফিফ। ম্যাচে দুইবার জীবন পেলেও এই ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৩য় ফিফটি তুলে অপরাজিত থাকেন ৭৭ রানে। ৫৫ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছয়ে এই ইনিংস সাজান আফিফ। এর আগে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংসকেও ছাড়িয়ে যান এই ব্যাটসম্যান।
অপরপ্রান্তে সোহানও সময়ের সঙ্গে আগ্রাসী হয়ে ওঠেন। শেষ পর্যন্ত ২৫ বলে ২টি করে চার-ছয়ে