ইউক্রেন ইস্যুতে ঘরে-বাইরে চাপের মুখে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই এবার পুতিনের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে রাশিয়ার বিরোধী শিবির। ইউক্রেনে নতুন করে সেনা মোতায়েনের প্রতিবাদে বিভিন্ন শহরে চলছে বিক্ষোভ। দুই মিত্র চীন ও ভারত রাশিয়াকে সমর্থন দিলেও এখন আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ অবসান চায় তারা। খবর আল-জাজিরার।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। সাত মাস হতে চললেও যুদ্ধ বন্ধের কোনো ইঙ্গিত নেই। বরং ইউক্রেনে সামরিক অভিযান জোরদার করতে নতুন করে সেনা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর নতুন নতুন এলাকা পুনরুদ্ধার ও রুশ সেনা হতাহতের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমা দেশগুলো সরাসরি এ যুদ্ধে অংশ না নিলেও রাশিয়াকে চাপে রাখতে চালিয়ে যাচ্ছে নানামুখী তৎপরতা। রাশিয়ার ওপর অবরোধের পাশাপাশি ইউক্রেনকে অস্ত্র ও অর্থসহায়তা করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। এতে অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছে রাশিয়া। পশ্চিমা চাপ উপেক্ষা করে ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে গেলেও এখন নিজ দেশেই বিক্ষোভের মুখে পুতিন। ইউক্রেনে আরও তিন লাখ সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাশিয়াজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিক্ষোভ। প্রতিদিনই দেশটির বিভিন্ন শহরের রাস্তায় নেমে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতিবাদ করছেন পুতিনবিরোধীরা।
ইউক্রেন যুদ্ধে মিত্র দেশ রাশিয়াকে সমর্থন দিয়ে এলেও আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে চীন ও ভারত। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ইউক্রেনে সংঘাত অবসানে জোরালোভাবে আহ্বান জানিয়েছেন দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
চলতি মাসের শুরুর দিকে উজবেকিস্তানে রুশ ও চীনা প্রেসিডেন্টের বৈঠকে ইউক্রেন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন শি। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক থাকার পরও রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক ধরে রেখেছে ভারত। মস্কোর কাছ থেকে অস্ত্র ও জ্বালানি ক্রয় করেছে দিল্লি। এ নিয়ে অবশ্য ওয়াশিংটনের সঙ্গে টানাপোড়েনও সৃষ্টি হয় মোদি সরকারের।
তবে নিজ দেশের সুরক্ষা ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় কোনো ছাড় দিতে নারাজ পুতিন। লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।