ফিলিপিন্সের পূর্বাঞ্চলীয় দ্বীপগুলোতে আঘাত হেনেছে টাইফুন নোরু। এরই মধ্যে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কা করছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। টাইফুন আঘাত হানার পর এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। খবর বিবিসির।
টাইফুন নোরুর প্রভাবে ভারি বৃষ্টি ও তীব্র বাতাসের কবলে ফিলিপিন্স। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় দ্বীপগুলোতে আঘাত হেনেছে টাইফুনটি। যার প্রভাবে সমুদ্রে উঁচু উঁচু ঢেউ আতঙ্ক বাড়াচ্ছে। সমুদ্রের আশপাশে না যেতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
টাইফুনটি এ বছর ফিলিপিন্সের অন্যতম শক্তিশালী টাইফুন বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দেশটির আবহাওয়া দফতর জানায়, টাইফুনের প্রভাবে ২৪০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। প্রথমে বাতাসের বেগ ১২০ কিলোমিটার থাকলেও মুহূর্তেই প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে ২৪০ কিলোমিটারে পৌঁছে যায়। এ ছাড়া টাইফুনের কারণে রাজধানী দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরগুলোতে আটকে পড়েছেন সহস্রাধিক যাত্রী।
এদিকে টাইফুনের কারণে রাজধানী ম্যানিলাসহ এর আশপাশের এলাকায় বন্যার সঙ্গে ভূমিধসের আগাম সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে স্থানীয় অন্তত ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে। এটিকে এ বছর ফিলিপিন্সের অন্যতম শক্তিশালী টাইফুন বলেও উল্লেখ করেছে কর্তৃপক্ষ।
উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে। দেশটির জাতীয় পুলিশপ্রধান জেনারেল রডলফো আজুরিন জনগণকে নিরাপদে সরে যাওয়ার আদেশ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলেদের সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমনকি এরই মধ্যে কিছু এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। ফ্লাইট ও ফেরি পরিষেবাও বাতিল করা হয়েছে।
টাইফুনটি পলিলো দ্বীপ থেকে লুজনের প্রধান দ্বীপগুলোর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এটি সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ চীন সাগরে যেতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দফতর। প্রায় ৭ হাজার ৬০০ দ্বীপ নিয়ে গঠিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি প্রতিবছর ছোট-বড় ২০টিরও বেশি ঝড়ের কবলে পড়ে।