ছবি: সংগৃহীত
বয়সভিত্তিক পর্যায়ে সাফের ট্রফি জয়ের চেয়েও জাতীয় দলের হয়ে সাফল্য পাওয়াকে নিজের ক্যারিয়ারে বিশেষ অর্জন বললেন তহুরা খাতুন। সাফের অনুপ্রেরণা সঙ্গী করে এশিয়ান লেভেলে খেলতে চান এই ফরোয়ার্ড। এদিকে, আপাতত আর্থিক সমস্যা না থাকলেও ময়মনসিংহের কলসিন্দুরে নিজের বাড়ির সামনের রাস্তা যত দ্রুত সম্ভব সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন সাফজয়ী এই ফুটবলার।
বয়সভিত্তিক পর্যায়ে ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো সাফের ট্রফি জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সেই দলের সদস্য ছিলেন তহুরা খাতুন। এরপর অনূর্ধ্ব ১৭, ১৮ ও ১৯ খেলার দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল এই ফরোয়ার্ডের। এবার জাতীয় দলের হয়ে নেপালে ইতিহাস গড়েছে তহুরা-সাবিনা-কৃষ্ণানারা। আগের শিরোপাগুলোর চেয়ে এবারের সাফল্য তহুরার ক্যারিয়ারে বিশেষ অর্জন।
তহুরা খাতুন বলেন, ‘সাফে আমরা যে নেপালকে হারিয়েছি, তা সারা জীবন মনে থাকবে। খুব ভালো লাগছে। স্বাগতিকদের এত দর্শকের মাঝে আমরা ভালো খেলে জিতেছি–এটাই অনেক বড় আনন্দের কথা।’
সাফের এবারের আসরে ২ ম্যাচে ১ গোল করেন তহুরা খাতুন। তবে ফাইনালে পুরো সময় সাইড বেঞ্চে থাকলেও দল কাঙ্ক্ষিত শিরোপা জেতায় কোনো আক্ষেপ নেই তার। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তুহুরার গোল ৪৬টি আর হ্যাটট্রিক রয়েছে ৭টি। সাফের অনুপ্রেরণা সঙ্গী করে এবার এশিয়ান লেভেলে প্রতিপক্ষের রক্ষণদুর্গ ভেদ করে জাল কাঁপাতে চান মেসি-সালাহকে আদর্শ মানা এই ফরোয়ার্ড।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যাশা ছিল না যে আমি সিনিয়র দলে খেলব। এখন যেহেতু আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, ফলে আমাদের দিকে সবারই একটু বেশি নজর থাকবে। এখন আমাদের সেভাবেই এগোতে হবে। আর দিনের পর দিন যে আমাদের খেলায় ইমপ্রুভ হচ্ছে, তা সবার চোখেই পড়েছে।’
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মা-বাবার কাছে যাওয়ার অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তহুরা।