সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ। মুস্তাফিজুর রহমানের বদলে একাদশে ফিরেছেন পেসার এবাদত হোসেন। এর আগে প্রথম ম্যাচে ৭ রানের জয় পেয়েছিল টাইগাররা।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে এই সিরিজটি মূলত অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই খেলছে বাংলাদেশ। এ সিরিজেই সঠিক টিম কম্বিনেশন খুঁজে পেতে চায় বাংলাদেশ। তাই সিরিজের স্কোয়াডে আছেন বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত স্কোয়াড ও স্ট্যান্ডবাই তালিকায় থাকা খেলোয়াড়রাই।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে দুর্বল আমিরাতের বিপক্ষে জয়ে যেমন স্বস্তি আছে তেমনই দুশ্চিন্তায় বেড়েছে কপালের ভাঁজও। ৭ রানে জয়ের ম্যাচে একটু এদিক সেদিক হলেই হারের তিক্ত স্বাদ পেতে হতো টাইগারদের। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের টপ ও মিডলঅর্ডার। তরুণ আফিফ হোসেন ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ছাড়া হাসেনই কারও ব্যাট। আফিফের ৫৫ বলে ৭৭ রানের দারুণ ইনিংসটি ও সোহানের ২৫ বলে ৩৫ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে মাত্র ১৫৮ রান করতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ।
জবাব দিতে নেমে দারুণ লড়াই করেছে স্বাগতিক আমিরাত। শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচে টিকে থাকা আমিরাত হেরেছে মাত্র ৭ রানে। যে ফরম্যাটে বাংলাদেশের সামর্থ নিয়ে নিজেদেরই সন্দেহ আছে, সেখানে জয়টাই যেমন স্বস্তির, তেমনই আসন্ন বিশ্বকাপে বড় দলের মোকাবেলা করার আগে এমন পারফরম্যান্স ভয়েরও বিষয়। এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর অস্ট্রেলিয়ার বাউন্সি ও দ্রুতগতির উইকেট টাইগারদের অবস্থা কল্পনা করতেও সমর্থকদের বুকে কাঁপন ধরে যাচ্ছে।
তবে বাংলাদেশ আপাতত ইতিবাচক দিক খুঁজছে চাপের মুখে জয় বের করে আনতে পারায়। সাম্প্রতিক সময়ে এশিয়া কাপ ছাড়াও বেশ কিছু ম্যাচে প্রায় জিতে যাওয়া ম্যাচেও হেরে গেছে বাংলাদেশ। চাপের মুখে বোলাররা নিজেদের নার্ভ ধরে রাখতে না পেরে দেদারসে রান ঢেলেছেন। কিন্তু আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচে শেষের দিকে অল্প রানের পুঁজিই দারুণ দক্ষতায় সামলেছেন শরিফুল-মুস্তাফিজরা। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য আমিরাতকে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয়া।
বাংলাদেশের একাদশ: মেহেদী হাসান মিরাজ, সাব্বির রহমান, লিটন দাস, আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী, মোসাদ্দেক হোসেন, নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নাসুম আহমেদ, এবাদত হোসেন ও তাসকিন আহমেদ।