ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেছেন, ছাত্রদলকে সাধারণ জনতা ধোলাই দিয়েছে। এতে ছাত্রলীগ দায়ী নয়।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাবিতে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় দেখা করতে চেয়েছিলেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এ কথা বলার পরপরই শিক্ষার্থীদের সমস্যা-সংকট সমাধানে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করে ছাত্রলীগ। পাশাপাশি তারা ছাত্রদলকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়। ঘোষণা অনুযায়ী, বিকেলে ক্যাম্পাসে ঢুকতে গেলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বিকেল ৪টা ২৮ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে ঢুকছিলেন সংগঠনের ৩০ থেকে ৩৫ নেতাকর্মী।
এ সময় স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মী মিছিলের সামনে দাঁড়িয়ে যান। ছাত্রদলের নেতাদের সঙ্গে তার ধাক্কাধাক্কি ও তর্কাতর্কি শুরু হয়। একপর্যায়ে উপাচার্যের জন্য ছাত্রদলের আনা ফুলের তোড়া ভেঙে ফেলেন ওই কর্মী।
পরে এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল নেতাকর্মী দৌড়ে এসে লাঠি ও স্ট্যাম্প দিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের পেটাতে শুরু করেন। আরেকটি অংশ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে। এতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা চলে যাওয়ার পর নীলক্ষেত মোড়ে আসেন কবি জসীম উদ্দীন হল শাখা ছাত্রলীগ ও বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়ার পর এই দুই হলের নেতাকর্মী ও এ এফ রহমান হলের নেতাকর্মীরা নীলক্ষেতের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। ১৫ মিনিটের মতো ছাত্রদলবিরোধী স্লোগান দেয়ার পর তারা ক্যাম্পাসের দিকে চলে যান।
হামলায় ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়াও আরও ৫-৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান ছাত্রদলের কর্মীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’