ফিফার প্রীতি ম্যাচ খেলতে ফের মাঠে নামছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। স্বাগতিকদের কঠিন প্রতিপক্ষ মানলেও লড়াইয়ের আভাস কোচ ক্যাবরেরার। জয়ের আত্মবিশ্বাস আর সাবিনাদের অনুপ্রেরণা সঙ্গী করে জয় নিয়ে দেশে ফিরতে চান জামাল ভূঁইয়ারা। কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় পৌনে ৬টায়।
সপ্তাহ খানেক আগে দশরথ রঙ্গশালায় ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সাফ জয় করে দেশে ফিরে সংবর্ধনায় সিক্ত হচ্ছেন সাবিনা-কৃষ্ণা-সানজিদারা। নারী ফুটবলারদের উৎসব-আনন্দের সেই রেশ না কাটতেই রঙ্গশালায় মাঠে নামার অপেক্ষায় ক্যাবরেরা শিষ্যরা। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে বাংলার জয়ীতাদের অসাধারণ সাফল্যের পর জামাল ভূইঁয়াদের ওপর ম্যাচ জেতার বাড়তি চাপটা অনুমেয়। কোচ অবশ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিয়েছেন। স্বাগতিকদের কঠিন প্রতিপক্ষ মানলেও জয়ের ধারা বজায় রাখতে আশাবাদি হেড কোচ।
হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা বলেন, ‘কম্বোডিয়ার বিপক্ষে জয়টা বাড়তি আত্মবিশ্বাস হিসেবে কাজ করবে। এ ম্যাচের জন্য জামালরা শতভাগ প্রস্তুত। প্রতিপক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফুটবল খেলবে। তারপরও জয় পেতে চাই আমরা।’
স্বাগতিকদের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে কাঠমান্ডুর আর্মি স্পোর্টস গ্রাউন্ডে ঘাম ঝরান বিপলু-রাকিব-ইব্রাহীমরা। দশরথ রঙ্গশালায় সাবিনাদের জয়ের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চান অধিনায়ক জামাল ভূইঁয়া।
তিনি বলেন, ‘ঘরের মাঠে নেপাল কঠিন প্রতিপক্ষ। নারী ফুটবল দল এখানে ইতিহাস গড়েছে। নেপালে ফুটবলারদের দারুণ অভিজ্ঞতা রয়েছে। মাঠে শতভাগ দিতে পারলে জয় পাওয়া সম্ভব।’
এদিকে ফিফার এই প্রীতি ম্যাচের জন্য নেপালও লড়াই করতে প্রস্তুত। ঘরের মাঠের সুবিধা শতভাগ কাজে লাগাতে চায় স্বাগতিকরা।
নেপালের অধিনায়ক কিরান কুমার লিম্বু বলেন, ‘বাংলাদেশ ভালো দল। তাদের বেশকজন দারুন ফুটবলার আছে। আমরাও প্রস্তুত লড়াই করতে। আমাদের বিশ্বাস সমর্থকদের জয় উপহার দিতে পারব।’
নেপালের বিপক্ষে সবশেষ দুই দেখায় হতাশা সঙ্গী বাংলাদেশের। ২০২১ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজে ২-১ গোলের হার আর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ১-১ গোলে ড্র। সবমিলিয়ে দু’দলের ২৩ বারের দেখায় লাল-সবুজদের ১৩ জয়ের বিপরীতে নেপালের জয় ৭টি।