সরকারের নানা পদক্ষেপে সীমান্তবর্তী এলাকাতে দিন দিন বাড়ছে মাল্টাসহ বিভিন্ন ফলের বাগান। এরই মধ্যে বাগান করে সফলতাও পেয়েছেন অনেকে। এখানে বেশি সাড়া ফেলেছে থাই পেয়ারা ও বারি মাল্টা।
হিলিসহ আশপাশের সীমান্তঘেঁষা গ্রামগুলোতে সরকারের নানা উদ্যোগ ও নিজের চেষ্টায় খণ্ড খণ্ড জমিতে অনেকেই শখ করে বাগান করেছে মাল্টার। এখন সেই বাগানগুলোই বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে।
হিলি বাজারসহ আশপাশের ফলের দোকানগুলোতে এখন শোভা পাচ্ছে দেশীয় মাল্টা। এ ছাড়া মাল্টা পরিপক্ব হওয়ায় বাগান থেকে নামানো হচ্ছে। পুরো দমে শুরু হয়েছে বেচাকেনা। ফলনও ভালো হয়েছে এ বছর। তবে দাম গত বছরের চেয়ে অর্ধেক।
হিলির চারমাথা মোড়ের ফলের দোকানদার এনামুল জানান, দীর্ঘ এক যুগ ধরে ফলের ব্যবসা করে আসছি। মূলত আগে যে ফল বিক্রি করেছি সেগুলো ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানিকৃত। তবে বর্তমানে যেসব ফল বিক্রি করছি সেগুলো স্থানীয় কৃষকদের।
হিলি বাজারে প্রবেশ করতে দেখা গেল প্রত্যেকটা ফলের দোকানে থরে থরে সাজানো বারি মাল্টা। দামও অনেক কম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিদরে।
ফল বিক্রেতা জুয়েল বলেন, বর্তমানের ফলের মধ্যে সবচেয়ে কম দাম বারি মাল্টার। মূলত এ মাল্টা হিলির পার্শ্ববর্তী চেচড়া গ্রামের বাবলু হাজির বাগান থেকে কেনা। এ কারণেই এত কম দামে বিক্রি করতে পারছি।
একজন বাগান মালিক বলেন, ‘শুরুতে কয়েকটি মাল্টার গাছ লাগিয়েছিলাম নিজেরা খাওয়ার জন্য। পরে আরও কিছু গাছ লাগাই। বর্তমানে আমার শখই বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে।’
দিনাজপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক প্রদীপ কুমার বলেন, ফল আমদানিনির্ভরতা কমাতে এবং জমির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতেই ফল চাষে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে চাষিদের।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জমির সঠিক ব্যবহার করতে হবে। কোনো জমি যেন পতিত না পড়ে থাকে। কারণ ব্যাপক সম্ভাবনা থাকার পরেও প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকার ফল আমদানি করতে হয় বহির্বিশ্ব থেকে। ফল উৎপাদনে কৃষকদের বিনামূল্যে সার ও বীজসহ বিভিন্ন প্রণোদনার আওতায় আনা হয়েছে। বর্তমানে ফলের বাগান কেউ করতে চাইলে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
সীমান্তবর্তী হিলি হাকিমপুর ও বিরামপুর উপজেলা দুটিতে বিভিন্ন ধরনের ফলের বাগান রয়েছে ৭২৬টি; যার মধ্যে খণ্ড খণ্ড জমিতে মাল্টার বাগান রয়েছে দেড় শতাধিক।