ছবি: ইন্ডিয়া টুডে
ভারতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মুসলিম রাজনৈতিক দল পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার (পিএফআই) ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, আসাম, উত্তর প্রদেশসহ ৮টি প্রদেশে একযোগে দলটির বিরুদ্ধে ব্যাপক আকারে অভিযান শুরু করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)।
অভিযানে বিভিন্ন জায়গা থেকে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার কয়েকশ সদস্যকে আটক করা হয়। সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন, মুসলিম যুবকদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়া, উগ্র মতাদর্শ ছড়ানো এবং দলিতসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষকে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগে এ অভিযান চালানো হয় বলে দাবি এনআইএর। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পিএফআই বলছে, ভিন্ন মতাদর্শ ও সংখ্যালঘুদের ওপর দমন-পীড়ন চালাতেই এ অভিযান।
গত ২২ সেপ্টেম্বর ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিম রাজনৈতিক দল পপুলার ফ্রন্টের বিরুদ্ধে ব্যাপক আকারে অভিযান শুরু করে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী। ১৫টি রাজ্য থেকে দলের ১০৬ জন শীর্ষ নেতাকে আটক করে পুলিশ। ওই অভিযানের প্রতিবাদে চেন্নাইসহ বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান দেশটির হাজার হাজার নেতাকর্মী।
সেই অভিযানের রেশ কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার ভারতজুড়ে দলটির বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান শুরু করে এনআইএ। মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, আসাম, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং তেলেঙ্গানাসহ ৮টি রাজ্যে একযোগে চলে অভিযান। একই সঙ্গে কর্ণাটকভিত্তিক রাজনৈতিক দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অব ইন্ডিয়া (এসডিপিআই)-এর বিরুদ্ধেও চলে অভিযান।
এ সময় অন্তত ৭৫ জনকে আটক করা হয়। এ ছাড়া আসামের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে পিএফআইয়ের ৩৬ সদস্যকে আটক করে এনআইএ। মহরাষ্ট্র থেকে আটক করা হয় ২০ জনকে।
২০০৬ সালে ভারতে রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রকাশ পায় পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া। দলটির দাবি, সংখ্যালঘুদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দলিত, মুসলিম ও বিভিন্ন উপজাতিদের অধিকার আদায় ও তাদের আইনি অধিকার নিশ্চিত করাই তাদের মূল লক্ষ্য। তবে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দাবি, তাদের নজরদারিতে দলটির বিরুদ্ধে উগ্রবাদ ছড়িয়ে দেয়ার মতো প্রমাণ উঠে এসেছে।