সরকার পতনে আন্দোলন কর্মসূচি ও বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বিএনপির সঙ্গে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ঐকমত্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (২ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে কল্যাণ পার্টির নেতাদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা মতবিনিময় করে বিএনপি নেতারা।
দেড় ঘণ্টার সংলাপ শেষে ফখরুল বলেন, নির্দলীয় সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিবার্চন নিশ্চিত করা, নতুন নিবার্চন কমিশনের অধীনে নিবার্চন, লাখ লাখ নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ চেয়ারপারসনের মুক্তি, যুগপৎ আন্দোলন বেগবান করা- এসব ইস্যুতে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সঙ্গে ঐকমত্য হয়েছে।
দ্বিতীয় দফার সংলাপের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রথম দফার সংলাপে জাতীয় ঐক্য করার ব্যাপারে নীতিগত ঐকমত্য ছিল, দ্বিতীয় দফায় সুনিদির্ষ্ট দাবি আদায়ের বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে। বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে যুগপৎ আন্দোলনে সরকার পতনে একমত পোষণ করেছে কল্যাণ পার্টি। ২২ দল ছাড়া অন্য যে কোনো দল এ সংলাপে আসতে পারে।
দ্বিতীয় দফা সংলাপের পরেই যুগপৎ আন্দোলনের রূপ রেখা আসবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই আপনারা জানতে পারবেন।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের দিন তারিখ প্রকাশ না করতে অনুরোধ করা হয়েছে। চমক আছে, চমকের জন্য অপেক্ষা করেন। এবার বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই। বিজয় আমাদের হবেই। রাজপথে আমাদের দেখতে পাবেন।
তিনি বলেন, আমরা চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, ধর্মীয় নেতাদের নির্যাতন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন প্রভৃতি বিষয়ে কথা বলেছি।
সংলাপে বিএনপির পক্ষে নেতৃত্বে ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
অন্যদিকে, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বে অংশ নেন পার্টির মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, অতিরিক্ত মহাসচিব নুরুল কবির পিন্টু, যুগ্ম-মহাসচিব সোহেল মোল্লা, আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাহবুবুর রহমান শামিম, উত্তরের সেক্রেটারি জামাল হোসেন, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু হানিফ ও উত্তরের সেক্রেটারি আবু ইউসুফ।