কন্টেন্ট চুরির অভিযোগে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মোবাইল অপারেটর রবির চেয়ারম্যানসহ ১১ জন ও দুটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন অভিনেত্রী সোহানা সাবা। রোববার (২ অক্টোবর) মামলা গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত চিফ ম্যাজিস্ট্রেট তফাজ্জল হোসেনের আদালত।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) অভিনেত্রী সোহানা সাবার পক্ষ থেকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান মো. মুজিবুল কামাল। মজিবুল কামাল নিজেই বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
মোবাইল অপারেটর চেয়ারম্যানসহ আরও ১১ জন হলেন: থায়াপরান সাঙ্গারাপিল্লাই, নাসির উদ্দিন আহমেদ, সাদিকুল ইসলাম, হান্স উইজ্যায়সুরিয়া, ভিবেক সুদ, রান্দিপ সিং, কামাল দুয়া, শিহাব আহমেদ, শহিদুল আলম, আসিফ নাইমুর রশিদ, রিয়াজ রাশেদ। আর দুটি প্রতিষ্ঠান হলো: ইন্সটেক স্টুডিও এবং গাউসিয়া জুই গার্ডেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, অভিনেত্রী সোহানা সাবা চার বছর আগে তারকালয় ‘আড্ডা উইথ সোহানা সাবা’ নামে একটি সেলিব্রেটি টকশো নির্মাণ শুরু করেন। যা প্রথমে এম/এস ইনসটিচ স্টুডিও ও রবি আজিয়াটা লিমিটেড এবং পরে আরও অনেক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম সাবার অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করেছে। এতে জানা-অজানা অনেকেই আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে। তবে টকশোটি সাবার কপিরাইট করা এবং যার সার্টিফিকেটগুলোর নম্বর যথাক্রমে সিআরএস ২৭০৪৮, ২৭০৮৫, ২৭০৮৬, ২৭০৮৭ এবং ২৭০৮৮।
এম/এস ইনসটিচ স্টুডিও এবং রবি আজিয়াটা লিমিটেড সোহানা সাবার কোনো সম্মতি ও লাইসেন্স ছাড়া অনুষ্ঠানগুলো অনলাইন এবং অফলাইন বিভিন্ন চ্যানেলে সম্প্রচার করেছে, যা আইন অনুযায়ী কপিরাইট আইন ২০০০-এর (সংশোধিত ২০১০) ৭১ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
অভিনেত্রী সোহানা সাবা বলেন, ‘গত ৪ বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ৪২টি পর্ব তৈরি করেছি। এগুলো তারা নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী আমার অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করে উচ্চ মুনাফা অর্জন করেছে। এটি দেশের আইন অনুযায়ী চুরিরও শামিল। উক্ত কনটেন্টগুলো থেকে আয় করা টাকা তারা আমাকে বুঝিয়ে দেয়নি। এ বিষয়ে অবগত হলে তাদের কাছে যাওয়ার পরও তারা আমার কথা অগ্রাহ্য করে। তারা আমার পরিশ্রমের অবমূল্যায়ন করে।’