উম্মাহর বহির্ভূত বলে গণ্য হবে। কেননা, এরূপ দাবির পক্ষে দলিল কামনা করা খতমে নবুওয়াতের বিশ্বাসে সন্দেহের নামান্তর।
তবে খতমে নবুওয়াতে বিশ্বাসী কোনো ব্যক্তি যদি নবুওয়াতের মিথ্যা দাবিদারকে নির্বাক ও পরাজিত করার উদ্দেশ্যে তার কাছে দলিল প্রমাণ চায় তাহলে তা কুফুরী হবে না। যেমন- হযরত ইমাম আবু হানিফা রহ.-এর যামানায় এক ব্যক্তি নবুওয়াতের দাবি করল। সে বলল, আমাকে একটু অবকাশ দিন। আমি আমার দাবির সপক্ষে দলিল প্রমাণ উপস্থাপন করব। ইমাম আবু হানিফা রহ. বললেন, যে ব্যক্তি তোমার নিকট প্রমাণ তালাশ করবে, সে কাফির হয়ে যাবে। কেননা, বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মাদ মোস্তফা সা. বলেছেন, আমার পর আর কোনো নবীর আগমন ঘটবে না। (মানাকিবে ইমাম আজম রহ. : খন্ড ১, পৃ. ১৬১ বহাওয়ালায়ে ইমাম বারাজী রহ.)।
জেনে রাখা ভালো যে, নবীগণের মধ্যে পারস্পরিক মান ও স্তরের ব্যবধান আছে। এক নবী অন্য নবীর ওপর অধিকতর মর্যাদার অধিকারী। তবে, সকলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলেন হযরত মোহাম্মাদ সা.। তিনি সকল নবীর শিরোমণি। কোরআনুল কারীমে আল্লাহপাকের ঘোষণা- (ক) তারা হলেন রাসূল সম্প্রদায়, তাদের কাউকে কারো ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি।
তাদের মধ্যে কারো সাথে আল্লাহপাক কথা বলেছেন, আর কাউকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। (সূরা আল বাকারাহ : আয়াত ২৫৩)। (খ) রাসূলুল্লাহ সা. সর্বশ্রেষ্ঠ নবী, যা নিম্নল্লিখিত আল্লাহপাকের বাণী থেকে প্রমাণিত হয়। তোমারাই হলে উত্তম উম্মত যাদেরকে মানুষের হেদায়েতের জন্য আবির্ভূত করা হয়েছে। তোমরা মানুষকে ভালো কাজের উপদেশ দাও এবং মানুষকে মন্দ কাজ হতে বিরত রাখ। (নিরবাস : পৃ. ২৮৬)। (গ) সর্বসম্মত নির্ভরযোগ্য আকিদা হলো সৃষ্টির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলেন আল্লাহপাকের প্রিয় হাবীব, আমাদের সম্মানীত নবী সা.। এর প্রমাণ স্বরূপ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, মহান আল্লাহপাক আকাশবাসী (ফিরিশতামন্ডলী) ও নবীগণের ওপর হযরত মোহাম্মাদ সা.-কে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, জামে তিরমিজী)।