চলতি বছর ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে ১শ’র বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। বছরের প্রথম ৯ মাসে ইসরাইলি সেনাদের সশস্ত্র অভিযান যেমন বেড়েছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রাণহানির সংখ্যাও।
১৯৪৭ সালে জাতিসংঘে ভোটাভুটিতে ফিলিস্তিনকে দুই টুকরো করে ইহুদি এবং আরব রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাবের পর থেকেই সংকটের শুরু। বহু বছর পার হলেও সংঘাত বেড়েছে কয়েকগুণ। এরই মধ্যে অনেক অঞ্চল নিজেদের দখলে নিয়েছে ইসরাইল।
চলতি বছর পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে ইসরাইলি সেনাদের সশস্ত্র অভিযানের মাত্রা বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে প্রাণহানির ঘটনাও। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে ১শ’র বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
শনিবার (১ অক্টোবর) পূর্ব জেরুজালেমে অভিযান পরিচালনার সময় ১৮ বছরের এক তরুণ ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে নিহত হন। গত সপ্তাহে ইসরাইলিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জেনিনে বেশ কয়েকজন নিহত হন। এভাবে প্রতিনিয়ত দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর তালিকা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালের পর পশ্চিম তীরে চলতি বছর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ ইসরাইলি সেনাদের হাতে প্রাণ হারিয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচ ভাগের এক ভাগই শিশু।
ইসরাইলি সেনাদের হাতে ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্বের একাধিক মানবাধিকার সংস্থা। ফিলিস্তিনে ঘটে যাওয়া সহিংসতা এবং জবরদখলের বিষয়ে বারবার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করা হলেও ৭০ বছরেও এই সংকট নিরসনে এগিয়ে আসেনি কোনো পক্ষই।