সাফের আক্ষেপ ভুলে এবার এএফসি অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বের মিশনে নামছে বাংলাদেশ। সিঙ্গাপুর, ইয়েমেনের বিপক্ষে লড়াটা চ্যালেঞ্জিং হলেও ঘরের মাঠের সুবিধা শতভাগ কাজে লাগানোর প্রত্যয় মিরাজুল-মোরশেদ-নাজিমদের। পরিকল্পনা অনুযায়ী দল হিসেবে খেলতে পারলে ইতিবাচক ফল পাবে বাংলাদেশ। এমনটাই বিশ্বাস দুই কোচ বিপ্লব-পাপ্পুর।
গত বছরের ১২ আগস্ট যাত্রা শুরু হয় বাফুফে একাডেমির। টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি ও তিনজন সহকারী কোচের অধীনে নিজেদের প্রস্তুত করে নেয় বাছাই করা ৪৭ ফুটবলার। চলতি বছর বয়সভিত্তিক পর্যায়ের সাফে অংশ নিয়ে শুরুটা দুর্দান্ত হয় লাল-সবুজদের। যেখানে শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের বিপক্ষে বড় জয়ের স্বাদ পেয়েছিলো বাংলাদেশ। তবে সেমিফাইনালে ভারতের কাছে হেরে আসর থেকে বিদায় নেয় পল স্মলির শিষ্যরা।
এবার রুবেল-রানাদের সামনে এএফসি অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বের মিশন। ই’ গ্রুপে স্বাগতিক বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর, ভুটান ও ইয়েমেন। কোয়ালিফাইং রাউন্ড সামনে রেখে দুই সপ্তাহের প্রস্তুতি সেরে নিয়েছে নাজিমউদ্দিন-ফয়সালরা।
ঘরের মাঠে খেলা তাই শতভাগ নির্ভার ফুটবলাররা। সবশেষ সাফে প্রতিপক্ষের জালে ১১ গোল করেছিলেন মিরাজ-মোরশেদ-রুবেলরা। বিপরীতে মাত্র দুটি গোল হজম করে লাল-সবুজরা। সাফে শিরোপা জিততে না পারার আক্ষেপ ভুলে এবার গ্রুপ চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইট দিতে চায় স্বাগতিক ফরোয়ার্ডরা।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল দলের ফরোয়ার্ড মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘তিনটা টিমই অনেক কঠিন। আমরাও অনেক পরিশ্রম করেছি। তাই আমরা কাউকেই নরম চোখে দেখছি না। ‘
উইঙ্গার নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘টিমওয়ার্কটা থাকবে সবচেয়ে বেশি। যেহেতু ঘরের মাঠে খেলা, দর্শক আমাদের পক্ষে থাকবে। মানে সবকিছুই আমাদের। আমাদের মাঠ, আমরা দীর্ঘদিন থেকে এই মাঠে প্র্যাকটিস করছি, আমদের শক্তিটা বেশি থাকবে।’
আরেক উইঙ্গার মোরশেদ আলী বলেন, ‘যার যেখানে কাজ, সেটা যদি আমরা ঠিকমতো দিতে পারি, ইনশাল্লাহ, আমরা এই এএফসিতে ভালো করে কোয়ালিফাই করব।’
শ্রীলঙ্কায় সাফ খেলে আসার পর প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় পেয়েছে ফুটবলাররা। তাই প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্ট কোচিং স্টাফরা। সেই সঙ্গে স্বস্তির খবর দলে কোনো ইনজুরি নেই।
দলের গোলকিপার কোচ বিপ্লব ভট্টাচার্য বলেন, ‘সিঙ্গাপুর এবং ইয়েমেন বেশ বেস্ট সাইড। কিন্তু আমি মনে করি, হোমগ্রাউন্ড ও আমাদের খেলোয়াড়দের যে স্ট্রেন্থ, সে অনুযায়ী তারা যদি খেলতে পারে, আমার বিশ্বাস এখান থেকে কোয়ালিফাই করা কঠিন কিছু হবে না।’
সহকারি কোচ রাশেদ আহমেদ পাপ্পু বলেন, ‘সব খেলোয়াড়ই ফিট আছে। ভালো একটা চিন্তাভাবনা আছে আমাদের। ফার্স্ট ম্যাচ আমাদের সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে, সেটা নিয়েই আমাদের চিন্তা। এটা নিয়েই আমরা আগাচ্ছি।’
নিজেদের প্রথম ম্যাচে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। কমলাপুর স্টেডিয়ামে ম্যাচটি মাঠে গড়াবে সন্ধ্যা ৭টায়।