সাভার ও আশুলিয়ায় বিদ্যুৎবিভ্রাটের মধ্য দিয়েই চলছে শিল্পকারখানায় উৎপাদন ব্যবস্থাপনা। এ ছাড়া এক দিন জেনারেটর চালাতে গিয়ে খরচ হয়েছে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। এ কারণে সহস্রাধিক কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) ৭-৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় উৎপাদনমুখী শিল্পকারখানাগুলো কয়েক গুণ বেশি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ছোট-বড় অনেক কারখানাতেই অর্ধবেলা ছুটি ঘোষণা করা হয়।
বুধবারও (৫ অক্টোবর) শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন কারখানায় বিদ্যুৎবিভ্রাটের মধ্যেই কাজ শুরু হয়।
কারখানা মালিকরা জানান, শতভাগ রফতানিমুখী এসব কারখানায় মঙ্গলবার ৭-৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকাটা নজিরবিহীন ঘটনা। বড় কারখানাগুলো জেনারেটরের ওপর নির্ভরশীল হলেও ছোট কারখানাগুলো অর্ধবেলা কাজ করেই ছুটি ঘোষণা করে।
পিজিয়ন সোয়েটার লিমিটেড কারখানার পরিচালক আহমেদ মর্তুজা জানান, বিদ্যুতের চেয়ে ডিজেলের মাধ্যমে জ্বালানি ব্যবস্থাপনায় খরচ কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে উৎপাদন কমে যাওয়ায় অনেক কারখানায় নির্দিষ্ট সময়ে শিপমেন্ট করা সম্ভব হচ্ছে না।
কিছু কিছু কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, এক দিন জেনারেটর চালাতে গিয়ে খরচ হয়েছে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা।
ঢাকা রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল বিদ্যুৎ সংকটে পড়লেও এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) পক্ষ থেকে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে বিজিএমইএ-র সভাপতি ফারুক হাসান জানান, মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাত সোয়া ৮টা পর্যন্ত শিল্পাঞ্চলে বিদ্যুৎ না থাকায় সহস্রাধিক কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। তবে উৎপাদন কম হওয়া ও অতিরিক্ত খরচের বিষয়টি স্বীকার করলেও তার পরিমাণ কত, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।