সম্প্রতি চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য নতুন করে সেনা নিযুক্তির ঘোষণা দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপরই রাশিয়া থেকে অন্য দেশে মানুষ পালিয়ে যাচ্ছে বলে খবর প্রকাশ করে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো। বলা হয়, যুদ্ধে যোগ দিতে চান না বলেই দেশ ছাড়ছেন তারা।
পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোর দাবিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাল রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু জানান, যুদ্ধে যোগ দিতে দুই লাখের বেশি মানুষের নাম নতুন সেনা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে দেশটি। বর্তমানে তারা সবাই প্রশিক্ষণ নিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দ্রতই এসব সেনা ইউক্রেনে পাঠাবে রাশিয়া।
এদিকে রাশিয়া যখন নতুন করে সেনা শক্তি বাড়াচ্ছে তখন ধীরে ধীরে তাদের দখলকৃত অঞ্চলে ঢুকে পড়ছে ইউক্রেনের সেনারা।
মঙ্গলবার দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসনে বড় ধরনের সামরিক সাফল্যের দাবি করেছে কিয়েভ। একই সঙ্গে পূর্বাঞ্চলেও তাদের অবস্থান শক্তিশালী হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। ইউক্রেনীয় বাহিনীর অগ্রসর হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন মস্কোপন্থি কর্মকর্তারাও।
চলমান যুদ্ধে রাশিয়াকে মোকাবিলায় নতুন করে আবার ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউস জানায়, নতুন করে আরও ৬২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সামরিক সহায়তা দেয়া হবে। এর মধ্যে থাকবে অত্যাধুনিক রকেট সিস্টেমও।
এর আগের খবরে বলা হয়েছিল, ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে নিজেদের সীমানায় অন্তর্ভুক্ত করলেও সেগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারছে না রাশিয়া। রুশ বাহিনীর প্রতিরক্ষা ভেঙে কয়েক কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশের দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনীয় সেনাদের এই অগ্রগতির বিষয়টি স্বীকার করেছে মস্কো।