ছবি: সংগৃহীত
চলতি বছর চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন সুইডিশ বিজ্ঞানী সভান্তে প্যাবো। ১৯৫৫ সালের ২০ এপ্রিল সুইডেনের স্টোকহোমে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা সুনে বার্গস্ট্রোম ছিলেন বায়োকেমিস্ট। আর ৪০ বছর আগে ১৯৮২ সালে বার্গস্ট্রোমও চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। যদিও নোবেল ফাউন্ডেশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্যাবো জানান, তার জীবনে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা মা কারিন প্যাবো, যিনি রসায়নবিদ ছিলেন।
প্যাবো জানান, বাবার সঙ্গে খুব একটা ঘনিষ্ঠতা ছিল না তার। বরং মায়ের অনেক কাছের ছিলেন তিনি। যদিও বাবার কাজ তাকে সবসময় আকর্ষণ করেছে। সুইডিশ এ বিজ্ঞানী বলেন, নোবেলজয়ীরাও সাধারণ মানুষ।
সভান্তে প্যাবো ১৯৮৬ সালে উপসালা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি লাভ করেন। এরপর তিনি জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয় ও পরে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্কলেতে পোস্টডক্টরাল সম্পন্ন করেন। ১৯৯০ সালে তিনি মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় যুক্ত হন।
১৯৯৯ সালে ‘বিবর্তনীয় নৃবিজ্ঞান’- এর জন্য প্যাবো ম্যাক্স প্ল্যাঙ্কক ইনস্টিটিউট, লিপজিগ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি সেখানেই কর্মরত। এ ছাড়া ২০২০ সাল থেকে তিনি জাপানের ওকিনাওয়া ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে একজন সহযোগী অধ্যাপক হিসেবেও কাজ করছেন।
সভান্তে প্যাবোর গবেষণার মূল অর্জন হলো, বিলুপ্ত ও আধুনিক মানুষের মধ্যে যোগসূত্র প্রকাশ করার জন্য একটি সম্পূর্ণ নিয়ান্ডারথাল জিনোম সিকোয়েন্স। গবেষণার মাধ্যমে তিনি আগের অজানা একটি মানব প্রজাতির অস্তিত্বের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সামনে এনেছেন, যা ‘ডেনিসোভানস’ নামে পরিচিত।