দেশে ব্ল্যাকআউট আরও হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
বুধবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর আসাদ গেটে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
অসুস্থ হওয়ায় তাকে দেখতে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
টুকু বলেন, ‘‘এই সরকার তো মানুষকে ‘খিদা আছে খা, কত খাইতে পারিস খা’ বলে বিদ্যুৎ দিছে। কিন্তু বিদ্যুৎ যে শুধু জেনারেশনে চলে না, ট্রান্সমিশনে বিদ্যুৎ লাগে, ডিস্ট্রিবিউশন লাগে, এগুলোর খুব উন্নয়ন হয়নি। শুধু বিদ্যুৎ বানিয়ে গেছে। যার কারণে ব্ল্যাকআউট হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও হবে।’’
তিনি বলেন, ‘এই সরকার আসার পরে আমরা দেখলাম গত কয়েক বছরে ১৪ সালে, ১৭ সালে, ১৮ সালে ও ২২ সালে ব্ল্যাকআউট হয়েছে। ব্ল্যাকআউট হয় দুই কারণে। একটা হয় সংযোগ ঠিক নাই। কী কারণে ঠিক নাই? সারা দেশে যে পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো দিয়েছে ইউনিফাইড স্পেশিফিকেশনে যায়নি। কোনোটা নিউ জেনারেশনের, কোনোটা আবার পুরোনো। এদের মধ্যে একই সময়ে বা দুটিকে এক করে কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব না। নতুন আর পুরাতন মিশ্রণ আছে, যেখানে কাজ করার দরকার, সরকার সেখানে কাজ করে নাই।’
সাবেক এ বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রেন্টাল পাওয়ার যেগুলো আছে সেগুলোর মেশিন পুরোনো, ওর সাইকেল আর নতুনটার সাইকেল এক না। কোনো না কোনো সময় দেখা যাবে একটা ট্রিপ করলে সবগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। এই যে লুটপাট করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তিকে পাওয়ার স্টেশন দিয়েছে, এই পাওয়ার স্টেশনগুলার স্পেশিফিকেশন কী, একটার সাথে আরেকটা ম্যাচ করবে কি-না এগুলো যাচাই করেনি। যার কারণে গতকাল (মঙ্গলবার) দেখলাম আমরা আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ নেই। এ কারণে মানুষের দুর্ভোগ।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটা দেশে আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকলে কত প্রোডাকশন লস হয়, কত ওয়ার্ক আওয়ার নষ্ট হয়ে যায় এগুলো তো আপনারা জানেন। এই যে আমরা বারবার বলে আসছি বিদ্যুতের নামে তারা যে প্রচার প্রচারণা চালিয়েছে, মানুষকে বোকা বানানোর জন্য চালিয়েছে। এখন মানুষ দেখতে পাচ্ছে। একদিকে লোডশেডিং, অনেকে আবার মনে করেছে নরমাল লোডশেডিং, যখন দীর্ঘায়িত হয়েছে তখন জানতে পেরেছে গ্রিড ফেল করেছে। এই সরকার আইন নীতি ফেলে দিয়ে নিজেদের পকেট ভরার জন্য যে প্রকল্প নিয়েছে এই প্রকল্পগুলোর জন্য বাংলাদেশের মানুষকে অনেক দাম দিতে হবে, অনেক খেসারত দিতে হবে। এরকম আরও হবে।’