প্রথমেই সাব্বির ও মিরাজকে হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে সেই চাপ সামলে নিয়েছিলেন লিটন দাস এবং আফিফ হোসেন। দুইজনের ব্যাটে ভালোভাবেই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে মোহাম্মদ নেওয়াজের বলে ছয় মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন লিটন। ফেরেন ৩৫ করে। শুক্রবার বেলা ১১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৪ উইকেটে ৯২ রান।
১৬৮ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৫ রানে মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে আউট হন মিরাজ। এরপর দলীয় ৩৭ রানে হাসান রাউফের বলে ১৮ বলে ১৪ রান করে আউট হন সাব্বির।
এদিকে তাসকিন-নাসুমের দারুণ বোলিংয়ের মাঝেও আজ ব্যর্থ ছিলেন মুস্তাফিজ-হাসান মাহমুদরা। যেখানে তাসকিন তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে চেপে ধরেছিলেন। সেখানে মুস্তাফিজের চার ওভারে দিয়েছেন ৪৮ রান, উইকেট পাননি একটিও। হাসান মাহমুদও খরুচে ছিলেন এদিন। ৪ ওভার বোলিং করে ৪২ রান দিয়েছেন এ পেসার।
এদিকে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ভালো শুরু এনে দেন রিজওয়ান ও বাবর। তবে ম্যাচের অষ্টম ওভারে তাদের জুটি ভাঙেন মিরাজ। সুইপ করতে গিয়ে মুস্তাফিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ২৫ বলে ২২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বাবর।
এরপর শান মাসুদকে ফেরান নাসুম আহমেদ। আর ইয়াসির আলীর দারুণ এক ক্যাচে তাসকিনের করা তৃতীয় ওভারে প্যাভিলিয়নে ফেরেন হায়দার আলি। তবে পাকিস্তানের অন্য ব্যাটসম্যানরা যেখানে ব্যর্থ, সেখানে বরাবরের মতো জ্বলে উঠেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তার অপরাজিত ৫০ বলে ৭৮ রানের ইনিংসে ভর করে ১৬৭ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট পেয়েছেন তাসকিন। এ ছাড়াও একটি করে উইকেট পেয়েছেন হাসান মাহমুদ, মেহেদী এবং নাসুম আহমেদ।
এর আগে মুখোমুখি ১৫ টি-টোয়েন্টিতে মাত্র দুবার পাকিস্তানকে হারাতে পেরেছে বাংলাদেশ। তবে এবার তাদের মিডল অর্ডারের অফফর্মের সুযোগ কাজে লাগিয়ে চমক দেয়ার চেষ্টা তো করতেই পারে বাংলাদেশ।