শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই নয়, আওয়ামী লীগ সরকারের ওপরও আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা চায় বিএনপি। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা বা সংলাপের প্রশ্নই আসে না।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে এরই মধ্যে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো রাজপথে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরার চেষ্টা করছে। আর সরকারবিরোধী আন্দোলন ঠেকাতে বরাবরের মতোই এবারও প্রস্তুত ক্ষমতাসীনরা।
রাজনীতির মাঠ যখন উত্তপ্ত, ঠিক তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্দেশিত এক বেতার বার্তা। বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের হাতেও পৌঁছেছে সেই বার্তা। যেখানে বিরোধীদের কর্মী ও অর্থ জোগানদাতার তালিকা চাওয়া হয়েছে। আর এ নিয়েই বেজায় চটেছে বিএনপি।
এমন নির্দেশনা সংবিধান ও আইন পরিপন্থি বলে মন্তব্য করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সরকারের নির্দেশে বিএনপির চলমান আন্দোলন নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র করছে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের তথ্য সংগ্রহ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের এই উদ্যোগ বেআইনি, সংবিধান পরিপন্থি। বিএনপি মনে করে, অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সমাজে ভীতি ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করতেই তাদের এই বার্তার উদ্দেশ্য।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ ধরনের স্বেচ্ছাচারী আচরণ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সরকার নিজেদের ক্ষমতায় থাকতে বিরোধী দলের আন্দোলন দমিয়ে রাখতে চায়। কোনো নির্দিষ্ট বাহিনী নয়, সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসা উচিত। কারণ, সিদ্ধান্ত সরকারের কাছ থেকে আসে।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা একটা গণতান্ত্রিক দল, নির্বাচন তো করতেই চাই। কিন্তু সেটা তো হতে হবে নির্বাচনের মতো। ভোটের আগের রাতে নির্বাচন হয়ে যাবে, ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে দেবে, বিরোধী দলের প্রার্থীরা কেউ প্রচারণা চালাতে পারবে না, তাদের গ্রেফতার করা হবে–এটা তো হতে পারে না।
সরকারের সঙ্গে আর কোনো সংলাপের সুযোগ নেই, তাদের পদত্যাগ একমাত্র পথ। আমাদের ভয় পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। বরং উল্টো তারাই ভীতু হয়ে আছে, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না।’