গরু পাচার মামলায় তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। চার্জশিটে সিবিআই দাবি করেছে, গরু পাচারে প্রশাসনকে ব্যবহার করতেন অনুব্রত মণ্ডল। এমনকি গরু পাচারের সেফ জোন হিসেবে বীরভূম জেলাকেও ব্যবহার করতেন তিনি।
অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের পরই চরম অস্বস্তিতে পড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার এই প্রভাবশালী নেতাকে সরাসরি গরু পাচারের অভিযুক্ত করায় ভাবমূর্তি সংকটে পড়বে রাজ্যটির শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রত মণ্ডলকে ফাঁসিয়েছেন বলে দাবি করেন তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় ।
তবে শোভন দেব জানিয়েছেন, ভালোমন্দ নিয়েই আমাদের সমাজ। যদি কেউ দোষ করে থাকে এবং আদালতে সেটা প্রমাণ হলে অবশ্যই বিচার হবে। এ ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস তাদের দলের অবস্থান ও পরিষ্কার করেছে।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক সূত্রে খবর, শুক্রবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে আসানসোল আদালতের বিশেষ সিবিআই কোটে ৩৫ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করে সিবিআই। এতে ১৮ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ এবং ১০০ জনের সাক্ষীর বয়ান সিবিআই আদালতে পেশ করে।
প্রসঙ্গত, ভারত থেকে বিভিন্ন দেশে নিয়মিত গরু পাচার হয়ে আসছিল। এই সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলা পর্যবেক্ষণ করে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে গরু পাচার মামলা সংক্রান্ত তদন্ত করার জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইকে দায়িত্ব দেয়া হয়। সিবিআই গরু পাচার মামলার তদন্ত শুরু করার পর অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সাইকেল হোসেনসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে।
মনে করা হয়, অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সাইকেল হোসেনের কাছ থেকেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরপরই তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যন্ত প্রভাবশালী ও বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই।