সিরিয়ায় মার্কিন বিমান হামলায় ইসলামী জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়ার (আইএসআইএস) দুই শীর্ষ নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বেসামরিক নাগরিক কেউ হতাহত হননি বলে জানা গেছে। সংগঠনটির সদস্যরা হামলা চালাতে পারে এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিমান হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। খবর সিএনএন।
বৃহস্পতিবার (০৬ অক্টোবর) সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় একটি গ্রামে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিমান হামলা চালায় মার্কিন সামরিক বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানান, হামলায় ইসলামী জঙ্গি গোষ্ঠীর দুই শীর্ষ নেতা নিহত হন।
নিহতদের একজন আবু আলা। তিনি আইএসের শীর্ষ পাঁচ নেতার একজন এবং তিনি সিরিয়ায় আইএসের উপপ্রধান। অন্যদিকে, নিহত আরেক নেতা আবু মুআদ আল-কাহতানি আইএসের কারাবিষয়ক কর্মকর্তা।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, ইসলামী জঙ্গি গোষ্ঠী হামলা চালাতে পারে এমন খবর পেয়ে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য এ বিমান হামলা চালায় মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড বাহিনী। এর আগে, বুধবার (০৫ অক্টোবর) রাতেও দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মার্কিন বাহিনী আরেকটি অভিযান চালালে সংগঠনের এক নেতা নিহত হন।
তবে, দুটি হামলায় বেসামরিক নাগরিক ও মার্কিন বাহিনীর কোনো সদস্য আহত বা নিহত হননি বলে এক বিবৃতিতে জানায় ওয়াশিংটন। এমনকি, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সরঞ্জামেরও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এদিকে, জঙ্গি সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি বছর বেশ কয়েকজন আইএস নেতার অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন হামলায় শীর্ষ নেতা আবু ইব্রাহিম আল হাশিমি আল কোরাইশি নিহত হন।