ভারতের দিল্লিতে স্কুলের টয়লেটে ১১ বছরের এক স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। জুলাই মাসে এ ঘটনা ঘটলেও বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দিল্লির কমিশন ফর ওমেন (ডিসিডব্লিউ) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দিল্লি পুলিশ এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
এদিকে এক বিবৃতিতে ডিসিডব্লিউয়ের চেয়ারপারসন সাতি মালিওয়াল জানান, ওই স্কুলছাত্রী দিল্লির একটি সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করে। জুলাই মাসে তার স্কুলের মাধ্যমিক পড়াশোনা করা দুই ছাত্র ওই স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক টয়লেটে নিয়ে যায়। এ সময় ওই ছাত্রী তাকে ছেড়ে দিতে বললেও দুই শিক্ষার্থী টয়লেটের দরজা আটকে তাকে ধর্ষণ করে।
মালিওয়াল জানিয়েছেন, ওই স্কুলছাত্রী তাকে বলেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জেনে ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল। সাতি মালওয়াল জানান, এটা খুবই উদ্বেগজনক যে রাজধানী শহরের মতো জায়গায় একটি সরকারি স্কুলেও শিশুরা নিরাপদ না। তিনি এই বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সেই সঙ্গে স্কুলের সব শিক্ষক ও কর্মচারীকে বিচারের আওতায় আনার আহবান জানান।
এদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই স্কুলছাত্রী বিষয়টি নিয়ে তাদের অধ্যক্ষকে কোনো তথ্য দেয়নি। এ বিষয় নিয়ে অন্ধকারে ছিলেন বলে দাবি করেছেন তারা।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, শিশুদের প্রতি যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া স্কুল কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
ভারতে প্রায়ই নারী ও শিশুদের গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণ প্রতিরোধে ফাঁসির শাস্তির মতো কঠোর আইন রয়েছে। এরপরে ধর্ষণের যে তথ্য উপাত্ত পাওয়া যায় তাতে কোনোভাবেই ন্যক্কারজনক ঘটনা কমার লক্ষণ দেয়া যায় না।
ভারতের আইন বিশেষজ্ঞ এবং মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, কঠোর আইন থাকলেও তা প্রয়োগের হার খুবই কম। এতে অপরাধীরা উৎসাহিত হচ্ছে। এ কারণে ধর্ষণের মাত্রা কমছে না বলে জানিয়েছেন তারা।