শুল্ক কমানোর পাশাপাশি বাজার তদারকি করেও চাল, আটা, ময়দার বাজারে স্বস্তি মিলছে না। সরু চাল ৭০ টাকা এবং মোটা চাল ৪৫ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে আটার দাম। ময়দায় ১০ টাকা বাড়ানোর তোড়জোড় চলছে। এদিকে তেলের দাম কমানোর ঘোষণার ৫ দিন পরও বাজারে ১৭৮ টাকা লিটারের তেল ছেড়েছে মাত্র একটি প্রতিষ্ঠান। সবমিলিয়ে বাজারের তাপে পুড়ছে সাধারণ মানুষ।
এবার ভরা মৌসুমেও চালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। বাজার নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি খাতে ১০ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি শুল্ক সাড়ে ৬২ শতাংশ থেকে দুই দফায় কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনে সরকার। এছাড়া জিটুজি ভিত্তিতেও আরও ৮ লাখ ৩০ হাজার টন চাল ও গম আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এদিকে প্রতিদিনই বাজারে নজরদারি চালাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা। তারপরও দামের লাগাম হাতছাড়া।
শনিবার (৮ অক্টোবর) মোহাম্মদপুর টাউন হল খুচরা বাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, দেদারসে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে প্রতিকেজির দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ব্রি-২৮ চাল ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা আর মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫২ টাকায়।
অপরদিকে আটা ও ময়দার বাজারে আবারও দাম বাড়তে শুরু করেছে। সপ্তাহ ব্যবধানে ২ কেজির প্যাকেটজাত আটার দাম ১০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর লাল আটার দাম ১০ টাকা বেড়ে ১৪৮ টাকায় উঠেছে। এছাড়া ময়দার দাম ১০ টাকা বাড়ার আভাস দিয়েছেন বিক্রেতারা।
ভোজ্যতেল নিয়েও ক্রেতাদের ভোগান্তির শেষ নেই। গত সোমবার (৩ অক্টোবর) সয়াবিন তেলের দাম ১৪ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়। এ ঘোষণার ৫দিন পেরলেও বোতলের গায়ে ১৭৮ টাকা রেট লেখা তেল বাজারে ছাড়ছে মাত্র একটি প্রতিষ্ঠান। পুরানো রেটের তেল নতুন দামে বিক্রির নির্দেশনা দিয়েছে আরেকটি প্রতিষ্ঠান।
এদিকে কেজিতে ৬ টাকা দাম বাড়ানোর পর উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো ধীরে ধীরে চিনির সরবরাহ বাড়াতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ডিলাররা। পাইকারিতে ৫০ কেজির প্রতি বস্তা চিনি ৪ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।