অবশেষে জাতীয় পার্টির (জাপা) পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের সঙ্গে দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর বিবাদ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এতদিন ঠাণ্ডা লড়াই হয়েছে জাতীয় পার্টির কয়েকটি গ্রুপের মধ্যে। সবাই সবার জায়গা থেকে সবধানে মন্তব্য ছুঁড়েছে। কেউবা নাম ধরে তির্যক মন্তব্য করার সাহস করেনি। তবে এখন তা আর নেই। কোনো রাখঢাক আর থাকছে না। কয়েকটি উপদল থাকলেও বর্তমানে দুইটি ভাগে মোটাদাগে বিভাজন হয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা।
শনিবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু গণমাধ্যমে কথা বলেন। এসময় তিনি জাতীয় পার্টির (জাপা) পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের ডাকা কাউন্সিল প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে আগামী ২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় দলের কাউন্সিলের সঙ্গে জাপার কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়ে দেন।
কে বা কারা কাউন্সিল ডেকেছে এর সঙ্গে আমরা জড়িত নই মন্তব্য করে চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো কাউন্সিল আমরা ডাকিনি। আমাদের ডাকার সময় হয়নি। এটা আমরা নলেজে নিচ্ছি না।
কোনো জোটের প্রশ্নই আসে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগ কারও সঙ্গে আমরা জোটে নেই, আলোচনা নেই। আমাদের টার্গেট আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে ভোট করার। নির্বাচন করার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি ব্যাপক ভাবে।
এর আগে ৩১ আগস্ট সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এক চিঠিতে আগামী ২৬ নভেম্বর জাতীয় পার্টির কাউন্সিল অধিবেশন ডাকেন। কাউন্সিল বাস্তবায়ন করতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু রাখেন। তবে প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে রওশন এরশাদ নিজেই রয়েছেন।