গ্রেফতারকৃত ভুয়া ডিবি পুলিশের ৬ সদস্য
দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে শুল্ক ফাঁকি দেয়া অবৈধ বিড়ি কারখানা বন্ধে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বগুড়া জেলা বিড়ি মালিক ও বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় বগুড়া জেলা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও ঘেরাও কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধন শেষে বগুড়া কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের সহকারী কমিশনার বরাবর পাঁচ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা। তাদের দাবিগুলো হলো- নকল বিড়ি ও নকল ব্যান্ডরোল যুক্ত বিড়ি বন্ধ, শুল্ক ফাঁকি দেয়া অবৈধ বিড়ি কারখানা বন্ধে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ, বিড়ির উপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, অনলাইনে লাইসেন্স দেয়া বিড়ি মালিকদের থেকে রাজস্ব আহরণে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও শ্রমিকদের সপ্তাহে ছয় দিন কাজের ব্যবস্থা করা।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চলনায় মানববন্ধনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সভাপতি এমকে বাঙ্গালী, সহসভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন, সোহেল মাহমুদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কতিপয় অসাধু বিড়ি ব্যবসায়ী বিড়ি শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে নকল ব্যান্ডরোল লাগিয়ে প্রতি প্যাকেট ১৮ টাকা মূল্যের বিড়ি ১০ থেকে ১২ টাকায় বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। একদিকে সরকার বছরে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে আর অন্যদিকে প্রকৃত রাজস্ব প্রদানকারী বিড়ি শিল্প মালিকরা চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এসব অসাধু ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।