বিশ্বে যেভাবে তাপপ্রবাহ বাড়ছে তাতে এশিয়া ও আফ্রিকায় বসবাস অযোগ্য হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করছে জাতিসংঘ ও রেড ক্রস। সংস্থা দুটির নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ভবিষ্যৎ তাপপ্রবাহের জন্য প্রস্তুতি বিষয়ক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মোট ৩৮টি তাপপ্রবাহ আঘাত হানে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। খবর আল-জাজিরা।
প্রতিবেদনে রেড ক্রসের পুরোনো তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী যে হারে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, তাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়েই চলছে। এ জন্য বিজ্ঞানীরা বারবার পৃথিবীর উষ্ণতা কমানোর তাগিদ দিচ্ছেন। তারা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখতে হবে। এর থেকে বেশি হলেই তা মানুষ, জীবজন্তুসহ বাস্তুতন্ত্রের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।
জাতিসংঘ ওরেড ক্রস বলছে, উষ্ণতা ২ ডিগ্রি নিচে না হলে মানুষের তাপ সহ্যক্ষমতা অনেক কমে যাবে। ফলে ভয়াবহ এক সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীতে যে হারে উষ্ণতা বাড়ছে তাতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশে অতিরিক্ত গরমের কারণে মৃত্যুহার ২০ শতাংশ বাড়তে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর আফ্রিকার সাহিল, পূর্ব আফ্রিকার উপদ্বীপ অঞ্চল এবং এশিয়ার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সৃষ্ট দাবদাহ ‘মানুষের শারীরবৃত্তীয় ও সামাজিক সহনশীলতার সীমা’ অতিক্রম করবে। ফলে ব্যাপক জনভোগান্তি ও প্রাণহানি ঘটবে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সোমালিয়া ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলোতে এ বছরের দাবদাহ ভবিষ্যতে আরও মারাত্মক, আরও বেশি বেশি ও ব্যাপকতর আকারে তাপঘটিত জরুরি মানবিক বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দেয়।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সমন্বয়ক মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীতে যে সমস্যা দেখা দিচ্ছে তাতে ধনী দেশগুলো তাদের জনগণকে নিরাপদে রাখতে অনেক অর্থ ব্যয় করে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। কিন্তু যেসব দেশগুলোর কাছে পর্যাপ্ত অর্থ নেই, তারা মূলত ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে।