রাজধানীর চকবাজারের বড় কাটারা এলাকার ছাপাখানায় তৈরি হচ্ছে নকল কসমেটিকস পণ্যের মোড়ক। বিপুল দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের মোড়ক জব্দ করার পাশাপাশি নকল পণ্য তৈরির মূলহোতাসহ ৪ জনকে গ্রেফতারের পর গোয়েন্দারা বলছেন, আরও বেশ কয়েকটি ছাপাখানা শনাক্ত করা হয়েছে।
রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারের বড় কাটারা এলাকায় জীর্ণ এক বাড়ির ভেতরে গোপন ছাপাখানায় চলছে নকল পণ্যের মোড়ক ছাপানোর কাজ। মেশিন থেকে একের পর এক বের হয়ে আসছে বহুল ব্যবহৃত প্রসাধনীসামগ্রীর হুবহু মোড়ক। তবে সবই নকল।
এ কারখানাটির মূলহোতার নাম হাজি নবী উল্লাহ। সে এর আগে নকল কসমেটিকস পণ্য তৈরির অভিযোগে জেলও খেটেছেন। ছাড়া পেয়েই পুনরায় শুরু করেছেন একই কাজ। ইন্ডিয়ান ভিট, মুক্ত, এমনকি জার্মান জনসন সাবান কিছুই নকল করতে বাদ রাখেননি তিনি।
আটককৃতরা জানান, এসব মোড়ক কারখানায় নিয়ে তাতে বিষাক্ত কেমিক্যালের তৈরি নকল পণ্য দিয়ে বাজারজাত করা হয়।
শ্রমিকরা জানান, আমরা তো জানি না এর মধ্যে ঝামেলা কী, কাজ থাকলে আসি; না থাকলে চলে যাই।
মূলহোতা হাজি নবী উল্লাহ বলেন, প্যাকেটগুলো বিক্রি শেষ করে আমি আর এ কারবার করবো না, এ হিসাব করেছিলাম। যে কসমেটিকস কারখানা ছিল সেটা আমি ভেঙে ফেলেছি, মানে মালপত্র ভরার যে মেশিন ছিল সেটি ভাঙা হয়েছে। এসব প্যাকেট মফস্বলের পার্টিদের কাছে পাঠাতাম।
তবে এবার মোড়ক তৈরির সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন ডিবির হাতে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, হাজি নবী উল্লাহ হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েই সে আবার আগের ব্যবসা শুরু করেন। আবার থাকে ধরা হয়েছে।
নকল প্রসাধনী তৈরির এ চক্র থামাতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় ডিবি।