বিশ্বকাপ ফুটবল শুরুর আগে সংকটে কাতারের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আগত দর্শকদের চাপ সামলানোর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত নয় হামাদ ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দর। এ ধরনের অভিযোগ করেছেন বিমানবন্দরে কর্মরতরা। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি যাত্রীচাপ সামলানোর জন্য বাড়ানো হয়নি কর্মীসংখ্যা। তবে, কাতারের সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটির দাবি, পর্যাপ্ত কর্মী ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই প্রস্তুত করা হয়েছে বিমানবন্দরের কর্মপরিকল্পনা। খবর ডেইলি মেইল।
ফুটবলের মহাযজ্ঞ উপলক্ষে সাজিয়ে তোলা হয়েছে মরুভূমির দেশ কাতার। তৈরি করা হয়েছে নানা ধরনের ইমারত, ব্যবস্থা করা হয়েছে বিশেষ ধরনের শাটল ট্রেন, স্পেশালাইজড ফ্লাইট ও অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ১২ লাখ দর্শক আগামী নভেম্বরের শুরু থেকে আসতে শুরু করবেন কাতারে। তবে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে বিশ্বকাপে আগত দর্শকদের পর্যাপ্ত সেবা দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত নয় কাতারের বিমানবন্দর। হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মূল টার্মিনালটি বিপুলসংখ্যক দর্শকের চাপ সামলাতে পারবে কি না, তা নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
প্রতিদিন ৭০০ ফ্লাইটের পরিবর্তে ১৬০০ ফ্লাইটের চাপ সামলানোর মতো পর্যাপ্ত জনবল নিয়েও তৈরি হয়েছে শঙ্কা। অতিরিক্ত দর্শকের চাপ সামলাতে বাড়ানো হয়নি কর্মী সংখ্যা। বিশ্বকাপে আগত বিপুলসংখ্যক দর্শকের চাপ সামলানোর জন্য বিমানবন্দরে কর্মরত কর্মীদের দেয়া হয়নি কোনো প্রকার প্রশিক্ষণ। কম জনবল নিয়ে একসঙ্গে এত দর্শকের চাপ সামলানো কঠিন। তাই চিন্তায় বিমানবন্দরের কর্মকর্তা-কর্মাচারীরা।
তবে কাতারের সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটির দাবি, পর্যাপ্ত কর্মী ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই প্রস্তুত করা হয়েছে হামাদ বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ অবস্থা। সুশৃঙ্খল পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এদিকে বিমানবন্দরে কর্মরতরা মনে করছেন, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলিং সিস্টেম অতিরিক্ত দর্শক চাপ সামলাতে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হবে। এ ছাড়া শঙ্কা রয়েছে বিলম্বিত ফ্লাইটগুলো দুবাইতে স্থানান্তরের।
দর্শক ও অভ্যন্তরীণ কর্মীদের শঙ্কা অনুযায়ী বিশ্বকাপের এই মহারণের আগে এ ধরনের সংকটপূর্ণ অবস্থার কারণে তৈরি হতে পারে বিশৃঙ্খলার। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে কাতার বিশ্বকাপে।