রাজধানীর ওয়ারীর একটি বাসা থেকে খাদিজা আক্তার কেয়া (২৫) নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে ওয়ারীর র্যাকিং স্ট্রিট, ১২/এ নম্বর বাড়ির দোতলা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
বাড্ডার বড় বেড়াইদ চাদারটেক এলাকার মো. আক্তার মিয়ার মেয়ে খাদিজা। তবে পরিবারটি বর্তমানে ওয়ারীর ওই বাসায় ভাড়া থাকেন।
তার ছোট ভাই মো. ইমন হাসান জানান, দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে মেজো ছিলেন খাদিজা। ৫-৬ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে তার ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর থেকে ছয় বছরের মেয়ে আরোহীকে নিয়ে তাদের সঙ্গে থাকতেন খাদিজা। তন্ময় নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার দীর্ঘ আড়াই বছরের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। তিনি তাকে বিয়ে করবে বলেও আশ্বস্ত করেছিলেন। তবে তন্ময় তাকে খুব সন্দেহ করতেন। সে জন্য খাদিজার বেডরুমে ছয় মাস আগে সিসি ক্যামেরাও লাগানো হয়।
তিনি জানান, শুক্রবার রাতে দুজনের ফোনে একটি বিষয়ে ঝগড়া হয়। এরপর অনেক কান্নাকাটি করেন খাদিজা। রুমের দরজা বন্ধ করা শুয়ে পড়েন। রাত ১০টার দিকে পরিবারে লোকজন তাকে ডাকাডাকি করলে তিনি কোনো সাড়াশব্দ করেননি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন তিনি। তখন থানায় খবর দেন তারা।
মরদেহ সুরতহাল প্রতিবেদনে ওয়ারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খালেদা আক্তার সাথী উল্লেখ করেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার পরে রুমের ভেতর খাদিজা ফাঁস দিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।