সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আবাসিক হল থেকে বৈধ শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক বের করে দেয়ার জেরে মধ্যরাতে ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (১৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের ৩৩৯ নম্বর কক্ষে এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৩৩৯ নম্বর কক্ষের বৈধ ছাত্র হিসেবে থাকেন পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থবর্ষের শিক্ষার্থী শামশেদ সিদ্দিকী সুমন। একই হলের ৩২৪ নম্বর কক্ষে থাকেন গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শুভ আহমেদ এবং ৪২১ নম্বর কক্ষে থাকেন গণিত বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী রাফি।
রোববার রাতে ছাত্রলীগের একটি পক্ষের নেতা সুমন সরকারের নেতৃত্বে জিইবি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মিজান, পিএসএস বিভাগের শাকিল, মোবাশ্বির, ইংরেজি বিভাগের বাঁধন ৩৩৯ নম্বর কক্ষের সুমনের বিছানাপত্র বের করে ফেলে দেন। এ সময় ভুক্তভোগী পরিসংখ্যান বিভাগের সুমন বাধা দিতে চাইলে তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন তারেক-সুমন সরকারের কর্মীরা। পাশের কক্ষে উচ্চস্বরের বাগ্বিতণ্ডা শুনে ভুক্তভোগীর বন্ধুরা এগিয়ে এলে তাদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন তারেক-সুমনের কর্মীরা।
এর জের ধরে তারেক-সুমনের কর্মীরা উচ্চস্বরে কথা বললে এবং দুর্ব্যবহার করলে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় সুমন সরকারের কর্মীদের হাতে লাঠি, ক্রিকেটের স্টাম্প, জিআই পাইপ ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দেখা যায়। হাতাহাতির একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতারা এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। উভয় শিক্ষার্থীদের ডেকে সুরাহা করে দেন। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতা খলিলুর রহমান এবং সজিবুর রহমানের অনুসারীদের মধ্যেই উত্তেজনা তৈরি হয়।
আবাসিক হলে ভর্তি থাকা কোনো শিক্ষার্থীকে নামিয়ে দেয়ার কারণ কী এবং এমন নির্দেশ দেয়ার ক্ষমতা সুমন সরকারের আছে কি না তা জানতে চাইলে সুমন সরকার বলেন, এটা আমাদের গ্রুপের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। সে আমাদের গ্রুপের কেউ না, তাই তাকে হল থেকে বের করে দিতে চেয়েছি।
শাহপরান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান খান বলেন, আমরা বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি। ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতারা বিষয়টি সমাধান করেছেন।