ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে সাগর। স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতায় জোয়ার হচ্ছে। ফলে ঢেউয়ের আঘাতে করছে কক্সবাজার উপকূল রক্ষাকারী বেড়িবাঁধ ও জিও ব্যাগে। তবে উপকূলে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরিয়ে এনে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন
আগত পর্যটক মাহমুদ হাসান বলেন, ৪ দিনের ছুটি নিয়ে কক্সবাজারে এসেছি। কিন্তু সাগরে নামতে পারছি না। তাই দূর থেকে সাগরের ভয়াবহ রূপ দেখছি এবং ছবি তুলছি।
আরেক পর্যটক হেলাল উদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের রূপ ঢাকা থাকলে দেখতে পেতাম না। কিন্তু কক্সবাজারে এসে এই দৃশ্যগুলো দেখছি। তবে, মাইকিং করে এবং সতর্ক করার কারণে সাগরের কাছে যেতে পারছি না।
সাগরের ভয়াবহতা দেখে বিপদ সংকেতের মাইকিং করছেন লাইফ গার্ড ও বিচ কর্মীরা। একই সঙ্গে পর্যটকদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশনা দিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
সি সেইফ লাইফ গার্ডের সুপারভাইজার মো. ওসমান গণি বলেন, সকাল থেকে সাগর ভয়াবহ রূপধারণ করেছে। তাই সব পর্যটকদের সমুদ্রস্নান থেকে বিরত রাখা হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক টহল দিয়ে যাচ্ছি।
জেলা প্রশাসনের বিচ ম্যানেজমেন্ট সিকিউরিটি ফোর্সের সুপারভাইজার মাহাবুব আলম বলেন, সার্বক্ষণিক মাইকিং করছি। মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিপদ সংকেত দেয়া হয়েছে।
ঢেউয়ের আঘাতে সৈকতের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ। এ সময় তিনি বলেন, সাগরের জোয়ারের পানির উচ্চতায় ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত টেকনাফ থেকে কুতুবদিয়া পর্যন্ত কোথাও বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেনি। উপকূলে সবাই নিরাপদে আছেন। তবে কক্সবাজার সৈকতের কিছু ক্ষতি হয়েছে, যা দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহিদ ইকবাল বলেন, দুপুরের পর উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরিয়ে আনা হবে। সব আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খোলা রাখা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় জেলায় খোলা রাখা হয়েছে ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। আর প্রস্তুত রয়েছে ৯ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।