ধেয়ে আসছে ভয়ানক ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এই ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হতে পারে উপকূলে। তবে আসন্ন এ ঝড়ে ইতোমধ্যে ঝালকাঠিতে শুরু হয়েছে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ভোররাতে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। তাই ৪ লাখ মানুষের জানমালের নিরাপদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে সিত্রাং মোকাবিলায় জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা হয়। জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, স্বেচ্ছাসেবক, চিকিৎসক ও পুলিশসহ বিভিন্ন দফতরের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, জেলায় ত্রাণের শুকনো খাবার মজুত নেই। তবে নগদ টাকা ও অন্যান্য সব ব্যবস্থা রয়েছে।
ঝড়ের সঙ্গে জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কার কথা জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ৪ লাখ মানুষ আশ্রয় দেয়ার জন্য আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবেলায় ৬২টি সাইক্লোন শেল্টারসহ ৪২৭টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা প্রস্তুত রয়েছে। তবে সুগন্ধা-বিশখালি, বাসন্ডা আর গাবখান-ধানসিড়ির ৫ নদীর মোহনা নিকটবর্তী চর ভাটারাকান্দা, দেউরি, মানকি, বড়ইয়া এলাকার ৩০ গ্রামের মানুষ এ দুর্যোগের ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কায় রয়েছেন।
অপরদিকে লাগামহীন বৃষ্টিতে জেলার ৪৭ হাজার হেক্টরে আমন ও ৮ হাজার হেক্টরে শীতকালীন শস্য শঙ্কায় পড়েছে।