আগামী মাসের শুরুতেই হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর জাতীয় সম্মেলন। আর সম্মেলনের মাধ্যমেই মূল্যায়িত হবেন ত্যাগী ও যোগ্যরা, বাদ পড়বেন হাইব্রিড, বিতর্কিত ও সমালোচিতরা। নতুন পুরানের সমন্বয়ে গঠিত হবে এবারের নতুন নেতৃত্ব এবং থাকবে চমকও। এমনটিই জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা।
উপমহাদেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। প্রতি তিন বছরপর পর নিয়মিতভাবে জাতীয় সম্মেলনের রেওয়াজে আসছে ডিসেম্বরেও ২২তম কাউন্সিলের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েই এগোচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আগেই সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মলেন সম্পন্ন হওয়ার কথা। দলটির নীতি নির্ধারকদের বার্তা দিয়েছেন- ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ, যুবমহিলা লীগ ও তাঁতী লীগসহ মোট পাঁচটি সংগঠনের সম্মেলন নভেম্বরের প্রথম দিকেই শেষ করার লক্ষ্য ঠিক রয়েছে। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দলের কার্যনির্বাহী বৈঠকেও চূড়ান্ত হতে পারে কেন্দ্রীয় সম্মেলনের তারিখ।
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সম্মেলন যথাসময়ের করার জন্য সভাপতি (শেখ হাসিনা) বলেছেন। সেই সময়ানুসারে সম্মেলন হবে। নভেম্বরে সহযোগী দলের সম্মেলন হবে। তারিখ নির্ধারণের অপেক্ষায় আছে। শিগগিরই তারিখ নির্ধারণ হয়ে যাবে। এবারের সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব এবং থাকবে চমকও।
দলের জাতীয় নেতারা বলছেন, ভাবমূর্তির সংকটে থাকা রাজনীতিবিদদের বাদ দিয়ে পরিচ্ছন্ন নেতৃত্ব বাছাইয়ে সতর্ক সবাই। বিতর্কিতদের পদায়নে একেবারে নেতিবাচক অবস্থানে হাই-কমান্ড।
এ বিষয়ে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, সফল সংগঠক, রাজনীতিতে সৎ পরীক্ষিত, যারা সকল লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে নির্মহভাবে সংগঠনগুলোর কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন, এই ধরনের নেতৃত্ব আমাদের পছন্দের।
২০১৯ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর জাতীয় সম্মেলন।