ছবি সংগৃহীত
গ্লেন ফিলিপসের অনবদ্য সেঞ্চুরির পর বোল্ট সাউদিদের আগুনে বোলিং। গেল বারের রানার্সআপ কিউইদের বিপক্ষে পাত্তাই পেল না সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। সুপার টুয়েলভের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শনিবার (২৯ অক্টোবর) দাসুন শানাকার দল হেরে গেছে ৬৫ রানের বড় ব্যবধানে। নিউজিল্যান্ডের ১৬৭ রানের জবাবে তাদের ইনিংস গুটিয়ে গেছে ১০২ রানে।
এ জয়ের ফলে ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ-১ এ শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল নিউজিল্যান্ড। কিউইদের হারাতে পারলে শীর্ষে উঠার হাতছানি ছিল শ্রীলঙ্কার। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভরাডুরি পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও বাজেভাবে হারল লঙ্কানরা। আজকের ম্যাচে ব্ল্যাকক্যাপসরা হারলে জমে যেতো গ্রুপপর্বের লড়াই। আপাতত সেই উত্তাপ কিছুটা থামিয়ে দিয়েছে কেন উইলিয়ামসনরা।
আগে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ডকে শুরুতে চাপে ফেলেছিল শ্রীলঙ্কা। নিজেরাও পরে চাপে পড়ে। ২৪ রান করতেই লঙ্কানরা হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। এই পাঁচজনই আউট হয়েছেন এক অঙ্কের ঘরে থাকতে। কুশাল মেন্ডিস ও চারিথ আসালাঙ্কা দুজনেই তোলেন ৪ রান করে। চামিকা করুনারত্নে করেন ৩ রান। পাথুম নিসাঙ্কা ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা প্যাভিলিয়নে ফেরেন শূন্য রানে।
মিডলঅর্ডারে লঙ্কানদের আশা দেখান ভানুকা রাজাপাকসা। কিন্তু বিপদের সময় খুব বেশিক্ষণ হাল ধরে রাখতে পারেননি তিনি। আউট হন ২২ বলে ৩৪ রান করে। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ৩ ও মহেশ থিকশানা প্যাভিলিয়নে ফেরেন শূন্য রানে। তখন হাল ধরেছিলেন অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ততক্ষণে শ্রীলঙ্কা জেতার দৌড় থেকে অনেকটা পিছিয়ে পড়ে। তিনি আউট হন ৩২ বলে ৩৫ রান করে। বাকিদের মধ্যে রাজিথা ৮ ও লাহিরু কুমারা ৪ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৪টি উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। ২টি করে উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার ও ইশ সোধি। একটি করে উইকেট পান টিম সাউদি ও লকি ফার্গুসন।
এর আগে শ্রীলঙ্কার বোলারদের সামনে শুরুতে খাবি খেতে শুরু করে নিউজিল্যান্ড। ১৫ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে প্রথম ম্যাচে দাপুটে জয় পাওয়া নিউজিল্যান্ড। ফিন অ্যালেন ও ডেভন কনওয়ে দুজনেই ফিরে যান ব্যক্তিগত ১ রানে। কেন উইলিয়ামসন ১৩ বল খেলে করেন মাত্র ৮ রান। বিশাল সেই ধাক্কা সামাল দেন গ্লেন ফিলিপস ও ড্যারেল মিচেল মিলে। ২৪ বলে ২২ রান করে আউট হন মিচেল। গ্লেন ফিলিপসের সঙ্গে তার জুটি হয় ৮৪ রানের।
মিচেল ওয়ানডে মেজাজে খেললেও অন্য প্রান্তে তাণ্ডব চালান ফিলিপস। ৬১ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। সেঞ্চুরি করতে ১০টি চার ও ৪টি ছয়ের মার খেলেন। ফিলিপস শেষ আউট হওয়ার আগে করেন ১০৪ রান। অন্যপ্রান্তে জিমি নিশাম আউট হন ৫ রান করে। মিচেল স্যান্টনার করেন ১১ রান। শ্রীলঙ্কার হয়ে ২টি উইকেট নেন কাসুন রাজিথা। একটি করে উইকেট পান মহেশ থিকশানা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, লাহিরু কুমারা ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।